নিউজ ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যেও খোলা রাখা হয়েছে ব্যাংক। তাই সাধারণ ছুটির সময় যেসব ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বশরীরে অফিস করছেন তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বলা হয়েছে, ১০ দিন অফিসে গেলেই ব্যাংককর্মীরা ভাতা হিসাবে পাবেন বাড়তি এক মাসের বেতন।
আজ সোমবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করেছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
চলমান সময়ে ১০ দিন অফিস গেলেই ব্যাংক কর্মীরা এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ ভাতা পাবেন। এ বিশেষ ভাতার পরিমাণ মাসিক সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা হবে। দেশে পরিচালিত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে এ ব্যাপারে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ব্যাংকিং দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিছুসংখ্যক ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারী ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন ব্যাংকিং খাতকে সচল রাখতে যারা তাদের জীবন ও পরিবারকে ঝুঁকিতে রেখেও সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশেষ প্রণোদনা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
ব্যাংক কর্মীদের আর্থিক প্রণোদনা নীতিমালা
ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন ব্যাংকে স্বশরীরে গিয়ে ব্যাংকিং কাজে অংশ নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন বা করছেন তারা বিশেষ প্রণোদনা ভাতা পাবেন।
সাধারণ ছুটিকালীন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কমপক্ষে ১০ কার্যদিবস স্বশরীরে ব্যাংকে কর্মরত থাকলে তা পুরোমাস হিসেবে গণ্য হবে।
তবে ১০ কার্যদিবসের কম স্বশরীরে ব্যাংকে কর্মরত থাকলে সে ক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে এই ভাতা পাবেন। ব্যাংকের স্থায়ী, অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক সব পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই সুবিধার আওতায় থাকবেন।