নিউজ ডেস্ক: দেশের বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্স ভবিষ্যতে উঠিয়ে দেবে সরকার। এসব কলেজে ডিগ্রি পাস কোর্সের পাশাপাশি কারিগরিসহ বিভিন্ন কোর্স খোলা হবে। এই প্রক্রিয়ায় যেতে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বৃত্তিমূলক শিক্ষা বাড়ানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বেসরকারি কলেজ পর্যায়ে অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তথ্য মতে, বেসরকারি কলেজে ১৯৯৩ সাল থেকে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সের অনুমোদন দেয়া হয়। বাংলাদেশে এখন ৩১৫টি বেসরকারি কলেজে এই কোর্স চালু আছে। কোর্সগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, সব কলেজে অনার্স-মাস্টার্সের তেমন কোনো প্রয়োজন হয়ত নেই। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষিত বেকার তৈরি হচ্ছে। আমরা সেটা চাই না। আমরা জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপ দিতে চাই। এ লক্ষ্যে উপযুক্ত শিক্ষা সম্প্রসারণের একটি প্রয়াস এটি।
তিনি বলেন, জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে বেসরকারি কলেজে নানান ধরনের শর্ট কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্সগুলো করানো হবে। যেগুলো অনেক বেশি কর্মমুখী, আত্মকর্মসংস্থানে, উদ্যোক্তা তৈরিতে যেগুলো উপযুক্ত হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, এই কাজটি একদিনে হঠাৎ করে বন্ধ করে দিয়ে করা যাবে না। সেজন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমরা কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা পুরো বিষয়টি দেখছেন। আর বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে নানা ধরনের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে এই সিদ্ধান্তগুলো নিতে হবে।
এদিকে এসব বেসরকারি কলেজে অনার্স এবং মাস্টার্স পর্যায়ে ৩ লাখের মতো শিক্ষার্থী আছে। কোর্স বন্ধ হলে তাদের কী হবে? এবিষয়ে দীপু মনি বলেন, তাদের শিক্ষাজীবন শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে।