নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার লক্ষ্যে অ্যাডহক ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য সরকারকে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে বাড়ির মালিকদের অমানবিক আচরণ বন্ধে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে এতে। বৃহস্পতিবার ই-মেইল যোগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, আইন সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব বরাবর এই নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, পত্র পত্রিকা মারফত জানা যাচ্ছে একদল বাড়িওয়ালা বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের বাসা ছেড়ে দেওয়ার মতো অযৌক্তিক এবং অমানবিক নির্দেশ প্রদান করছে। এমনকি তাদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার পর্যন্ত করছেন যা তাদেরকে মানসিকভাবে দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীর চিকিৎসা সেবা পেতে হলে তাদেরকে মানসিকভাবে নির্ভার রাখাটাও জরুরি।
নোটিশে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম একজন চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেন। সরকারের পক্ষ থেকে আক্রান্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের বীমার আওতায় আনার কথা বললেও তা কোন আইন বা নীতিমালার অধীন কিভাবে বাস্তবায়ন হবে এখন পর্যন্ত কেউ জানেনা। তাই এক্ষেত্রে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে একটি সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। এতে আরো বলা হয়, আমাদের দেশে জনসংখ্যার অনুপাতে চিকিৎসক পর্যাপ্ত নেই তাই প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাডহক ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগের ব্যবস্থা করে করোনার প্রাণঘাতী ছোবল থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।
ঢাকার একটি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. ওবায়দুর রহমানের পক্ষে গতকাল এই নোটিশ দেন অ্যাডভোকেট তানজিম আল ইসলাম।
নোটিশে বলা হয়, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট অত্যন্ত দরকার। পর্যাপ্ত পিপিই না থাকার কারণে অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে ওই আক্রান্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী সংস্পর্শে আসা অন্যান্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে সবার আগে সরকারের নজর দেওয়া দরকার বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।