নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ দূতাবাস প্যারিসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব-এর ৯৩তম এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের নেতাকর্মীবৃন্দ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা ও দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং উপস্থিত রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব এবং তাঁদের জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন। এসময় দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
পরবর্তীতে এ দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। এরপর উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথিগণ আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও তৎপরবর্তি স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁদের অসামান্য ভূমিকার প্রতি আলোকপাত করেন।
রাষ্ট্রদূত তালহা তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে তার অসামান্য ও কালজয়ী নেতৃত্বের কথা পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতির ছায়াসঙ্গী ছিলেন এবং একাধারে অন্তরালে থেকে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ক্রান্তিকালে পরামর্শ ও সাহস যুগিয়েছেন। আবার সংসারের হাল ধরে পাঁচটি সন্তানকে সুশিক্ষিত ও আদর্শবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর একজন তরুণ সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠক। এসময় রাষ্ট্রদূত এই উভয়ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, একটি স্বাধীন দেশের অবিসংবাদিত রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী ও জ্যেষ্ঠপুত্র হিসেবে তারা সকল আয়েশি জীবনের হাতছানিকে উপেক্ষা করে যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলস কাজ করেছেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গমাতার জীবনচিত্র সকল নারীর জন্য যেমন অনুকরণীয় তেমন শহীদ শেখ কামাল-এর জীবনী থেকে এ দেশের যুবসমাজের উত্তরণ ও আত্ম-উন্নয়নের রূপরেখা খুঁজে পাওয়া যায়।।
এসময় তিনি রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদের শহীদ পরিবারের আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেমের চেতনার আলোকে একযোগে কাজ করার জন্য আহবান জানান। আলোচনা পর্বে উপস্থিত রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁরা বর্তমান প্রজন্মকে বঙ্গমাতা ও শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন থেকে শিক্ষা নেবার জন্য সকলকে অনুপ্রাণিত করেন।