1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

পরিবারের খরচেই দেশে গেল সাংবাদিক মিঠুর মরদেহ

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩

আমাদেরকথা ডেস্ক: সরকারি খরচে মরদেহ দেশে‌ প্রেরণের কোন সুযোগ না থাকায় পারিবারিক খরচেই ফ্রান্স থেকে দেশে গেলো সাংবাদিক রেজাউল করিমের মরদেহ। বুধবার দুপুরে প্যারিসের উপকণ্ঠ ইস্তা এলাকায় বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারে জানাজা শেষে তার মরদেহ তার্কিশ এয়ার লাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। সব ঠিক থাকলে শুক্রবার সকালে রেজাউলের মরদেহ দেশে পৌঁছবে।

ইউরোপে কোন প্রবাসী বাংলাদেশী মারা গেলে নিজ খরচেই সেই মরদেহ দেশে প্রেরণ করতে হয়। তবে সে ক্ষেত্রে কোন প্রবাসী বাংলাদেশী আর্থিকভাবে সক্ষম না হলে স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটি ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন চাঁদা তুলে তার মরদেহ দেশে প্রেরণ করে থাকে।

ফ্রান্স প্রবাসী সাংবাদিক রেজাউল করিম মিঠুর পারিবারিক সচ্ছলতা থাকায় তার মরদেহ নিজ পরিবারের খরচেই দেশে নেয়া হয়েছে।

সরকারি খরচে ইউরোপ থেকে মরদেহ দেশে প্রেরণের দাবিতে দীর্ঘদিন থেকেই আন্দোলন করে আসছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। বিশেষ করে ফ্রান্সের বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে একাধিকবার দেশের সরকারি উচ্চ মহলে এই দাবিটি তুলা হয়। তবে এটি এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত না হওয়ায় আর্থিকভাবে অসচ্ছল প্রবাসী বাংলাদেশীদের মরদেহ চাঁদা তুলেই দেশে প্রেরণ করা হচ্ছে । স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশী কমিনিটি নেতারা বলছেন “এটি অনেকটা অমানবিক”।

এ বিষয়ে ফ্রান্সের বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন ,শুধুমাত্র যে সকল দেশে শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশীরা যান তাদের মরদেহ দেশে প্রেরণের ক্ষেত্রে সরকার আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে থাকে, অন্যতায় আর্থিকভাবে সহযোগিতার তাদের কোন সুযোগ নেই, তবে, প্রশাসনিক ও অনুমতিপত্রসহ অন্যান্য যে কোন বিষয়ে তারা সহযোগিতা করে থাকেন‌ বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য সাংবাদিক মিঠু (৩৮) গত শনিবার (২৭ মে) ফ্রান্সের স্থানীয় সময় রাত ১১ টা ১৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্যারিসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।)

গত ২৪শে এপ্রিল তিনি অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। হাসপাতালের আইসিইউ’ তে লাইফ সাপোর্ট মেশিনের মাধ্যমে তার হার্ট সচল রাখা হয়েছিল। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তার হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট বা প্রতিস্থাপন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। মাঝখানে তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এক পর্যায়ে আবারও অবনতির দিকে যায়। এর মধ্যেই এক পর্যায়ে তার হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট বা প্রতিস্থাপন করা হয় কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে আর বাঁচানো যায়নি।

বছরখানেক আগে তিনি ফ্রান্সে আসেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতিও পান। তিনি সাতক্ষীরার স্থানীয় এক দৈনিক পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতেন।

বাংলাদেশি কমিউনিটি মসজিদ ও ইসলামী সেন্টারে সাংবাদিক মিঠুর জানাযা এসময় প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাশাপাশি সাংবাদিক নেতারাও অংশগ্রহণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys