1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

চাই ভবিষ্যৎ সঞ্চয়

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ডা. ফারহানা মোবিন

বর্তমান যুগ তীব্র প্রতিযোগিতার। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভীষণ প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য চাই কৌশল, পরিশ্রম আর অর্থ। জীবনে টাকার যথষ্টে প্রয়োজন। যারা লেখাপড়া করছো,তাদেরকে আজকাল পড়ালেখার পাশাপাশি আরও অনেক কিছু শিখতে হয়। যেমন: গান, নাচ, ছবি আঁকা, কবিতা আবৃত্তি, অভিনয়, কারাতে ইত্যাদি।

আর এই বাড়তি কাজগুলো শিখতে প্রয়োজন বাড়তি টাকার। আমাদের কে যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য আমাদের অভিভাবকদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।

এখনকার বাবা–মাকে পরিশ্রম করতে হয় আরও অনেক বেশি। খেয়াল করে দেখো, যত দিন যাচ্ছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে।

এই বেড়ে চলা দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের অনেক কিছু করতে হচ্ছে, অনেক কিছু শিখতে হচ্ছে।

ছাত্রছাত্রীদের খেয়াল রাখতে হবে, বাবা–মায়ের ওপরে যেন খুব বেশি চাপ পড়ে না যায়। পৃথিবীটা যত উন্নত হতে থাকবে, বিভিন্ন রকম প্রয়োজন বাড়তেই থাকবে।

তাই ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্বশীল হতে হবে। নিজের শখ মেটানোর জন্য বাবা–মাকে অতিরিক্ত চাপ দেওয়াটা অনুচিত।

অনেকেই দামি পোশাক, দামি প্রসাধণী ব্যবহার করতে খুব পছন্দ করে। নামীদামি রেস্টুরেন্টে নিয়মিত ফাস্ট ফুড খায়। এই ধরনের ভালোলাগা যাদের মধ্যে কাজ করে, তাদেরকে চেষ্টা করতে হবে নিজের শখ মেটানোর জন্য বাবা–মাকে অতিরিক্ত চাপ যেন দেওয়া না হয়।

ফাস্ট ফুডের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। দামি পোশাক মানুষের শখ মেটায়, মানুষকে আধুনিক বানায়। কিন্তু যোগ্যতা আর শিক্ষা না থাকলে শুধু দামি পোশাক কিন্তু মূল্যহীন।

তাই ছাত্রছাত্রীদের অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।

করোনাভাইরাসের জন্য সারা পৃথিবীতে বিশাল বড় একটা পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের দেশেরও বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন হয়েছে।

শপিং মলসহ সবকিছু এখন খোলা। আমাদের শখ পূরণের আমরা যেন আমাদের অভিভাবকদের চাপ না দিই। আমাদেরকে বাস্তবতা পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝতে হবে।

ছাত্রছাত্রীরা অতিরিক্ত শখের জিনিসগুলো না কিনে সেই টাকা জমিয়ে রাখা উচিত ভবিষ্যতের জন্য। বাজারে বা ফুটপাতে বা বড় বড় শপিং মলে পাওয়া যায় টাকা ও পয়সা জমিয়ে রাখার জন্য মাটি বা কাঠের তৈরি সুদৃশ্য বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক বা পট।

যদি ব্যাংকে যাওয়ার সময় না থাকে, তাহলে মাটির ব্যাংকে টাকা বা পাঁচ টাকার কয়েন বা যতটুকু পারা যায় সঞ্চয় করার চেষ্টা করা যায়। নিজেদের পড়ার টেবিলেও সাজিয়ে রাখা যায় মাটির ব্যাংকগুলো। আজকাল শোপিসের মতো এসব পাত্র কিনতে পাওয়া যায়। এসব ব্যাংক পড়ার টেবিল ছাড়া ডাইনিং টেবিল, ড্রয়িংরুম বা ঘরের শোকেসেও সাজিয়ে রাখা যায়। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করা। একটু একটু করেই চেষ্টা করতে হবে। তাহলে বছর শেষে কিছু টাকা জমে যাবে।

এক টাকা থেকেই শুরু করা যায়। বিন্দু বিন্দুতে সিন্ধু হয়ে যায়। প্রতিদিন তো আর ব্যাংকে টাকা বা পয়সা জমানো সম্ভব নয়।
যখন সম্ভব হবে, তখন টাকা জমানো যাবে। মনে রাখতে হবে যে শখ করে টাকা জমাচ্ছ।

তাই টাকা জমানোর জন্য মা–বাবা, ভাইবোন বা পরিবারের অন্য কাউকে চাপ দেওয়াটা অনুচিত। বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের খরচের টাকা থেকে বাঁচিয়ে জমাতে হবে। দেখবে ৬ মাস বা ১ বছর পরে হয়ে যাবে মোটা অঙ্কের টাকা, যা দিয়ে পূরণ হবে নিজের কোনো ইচ্ছে।

নিজের জমানো টাকার সঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যদের কিছু টাকা যুক্ত করে হয়ে যাবে ট্যাব বা ল্যাপটপ অথবা নিজের পছন্দের কিছু। তোমার বন্ধুদেরও বলতে খুব ভালো লাগবে যে নিজের জমানো টাকা দিয়ে কিনেছ নিজের প্রিয় কিছু। আর তোমার অভিভাবকেরাও হয়তো একটি দায়িত্ব থেকে মুক্তি পাবেন।

তাঁরাও ভীষণ খুশি হবেন। কারণ, সঞ্চয় করাটা প্রত্যেক মানুষেরই উচিত। আর এই অভ্যাস টিকিয়ে রাখতে পারলে একদিন সঞ্চয়ের পরিমাণ অনেক বাড়বে।

কারণ, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণাতেই বিশাল মহাদেশ গড়ে ওঠে। তাই বন্ধুরা, এখন থেকেই সংযমী হওয়ার চেষ্টা করো। অপচয় না করে ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তোলো সঞ্চয়ের ভুবন।

নিজের জীবন কে নিরাপদ করো। এমনভাবে আমাদের কে চলতে হবে যেন বিপদের দিনে কারো কাছে হাত পেতে আমাদের চলতে না হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys