নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, শক্তি সঞ্চয় করে সুপার সাইক্লোন হিসেবে বুধবার (২০ মে) স্থানীয় সময় রাত ৯ থেকে ১২টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দীঘা ও হলদিয়া এবং বাংলাদেশে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান।
আম্পানের বর্তমান অবস্থান পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার দীঘা সমুদ্র থেকে মোটামুটি ৯০০ কিলোমিটার দূরে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টির গতি ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার। দিল্লির ‘মৌসম ভবন’এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার (১৮ মে) স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার পর থেকেই আম্পান শক্তিশালী হতে শুরু করবে এবং সেটি পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়ার আগেই এটি সুপার সাইক্লোনে রূপ নেবে।
এছাড়া আম্পান ক্রমশ উত্তর থেকে উত্তরপশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। এর প্রভাবে উড়িষ্যা উপকূলে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হবে। কোনো কোনো জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ওই রাজ্যটিতে।
তবে এর আগে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস ছিল, বঙ্গোপসাগরে ঘণীভূত হওয়া আম্পান পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়তে পারে বলে ৭০ ভাগ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দিক পরিবর্তন হয়ে উড়িষ্যা রাজ্যের দিকে যেতে পারে বলে ৩০ ভাগ সম্ভাবনা রয়েছে।
সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, মতিগতি পাল্টে ক্রমেই পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দিকে আঘাত হানতে এগিয়ে আসছে আম্পান। এ দুর্যোগের জেরে ঝড়বৃষ্টি শুরু হবে মঙ্গলবার (১৯ মে) থেকে।
তবে আগামী বুধবার (২০ মে) পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিকেলের পর থেকে প্রতি ঘণ্টায় ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ১২০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পূর্বাভাস পেয়েই সতর্ক হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিশেষভাবে সতর্ক এনডিআরএফ বা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ইতোমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরে এনডিআরএফ টিম কাজ শুরু করে দিয়েছে। সবাইকে ঘরেই থাকতে বলা হচ্ছে।
আম্পান আছড়ে পড়বে দীঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মাধ্যবর্তী অঞ্চলে। ফলে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও কাকদ্বীপে মানুষকে সাবধান করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ১৭টি এনডিআরএফ টিম কাজ শুরু করেছে। এরমধ্যে এনডিআরএফ-এর ৭টি দলকে পাঠানো হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে।