নিউজ ডেস্ক: রাজাকারদের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম আসায় ক্ষমা চেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মঙ্গলবার শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা অডিটোরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে উৎসর্গকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নুরুল ইসলাম খান রচিত ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং আমি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ভুলের পরিমাণ বেশি হলে রাজাকারের তালিকা প্রত্যাহার করা হবে। আর ভুলের পরিমাণ কম হলে ভুলবশত যাদের নাম এ তালিকায় এসেছে, সেগুলো প্রত্যাহার করা হবে।
তিনি বলেন, ভুলের দায় আমরা এড়াতে পারি না। যেসব অভিযোগ পাব, যাচাই করে সেসব নাম প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। আগামীতে তালিকা প্রকাশের আগে যাচাই-বাছাই করে পরে প্রকাশ করা হবে।
‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যে তালিকা পেয়েছি, হুবহু তা প্রকাশ করেছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও সে সময়ের সরকারি রেকর্ড দিয়েছে, নতুন তালিকা করেনি’
এদিকে গত ১৫ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের একদিন আগে প্রথম ধাপে প্রকাশ করা হয়েছে ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকারের নাম। এই তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধাদের নাম আশায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
তালিকা প্রকাশের দিন মন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা রাজাকাদের তালিকা প্রকাশ করবো, প্রস্তুত করবো বলি নাই। প্রকাশ অর্থ সরকারের হেফাজতে যে সমস্ত দলিলের মাধ্যমে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাই শুধু প্রকাশ করা হবে। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য যে প্রমাণ সেটা পাঁচ বছর আল শামস, আল বদর, জামায়াত এরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার কারণে যুদ্ধের সময়ের অনেক দলিল বিশেষ করে তাদের অপকর্মের দলিল তারা সরানোর চেষ্টা করে ছিল এবং তারা সফলও হয়েছে। এরপর, আগামী ২৬ মার্চে প্রকাশ করা হবে দ্বিতীয় তালিকা।