নিউজ ডেস্ক: মাদ্ররাসা সুপার নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় রয়েছেন হাজতে। চলছেনা মাদ্ররাসার প্রশাসনিক কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা নিতে পারছেননা প্রশংসাপত্রও। সুপারের পক্ষের এক শিক্ষক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চাবি হস্তান্তর করছেন না সহকারী সুপারের কাছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাই নিরুপায় হয়ে কুলাউড়ার জালালীয়া মাদ্ররাসার ১০জন শিক্ষক একটি লিখিত দিয়েছেন কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। লিখিত আবেদনে ইউএনও’র কাছে শিক্ষকরা দাবী করেন মাদ্ররাসার সহকারী সুপার মাও: মো: মুজিবুর রহমান চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সুপার নিয়োগ করতে।
সূত্র জানায়, ছাত্রীদের যৌন হয়রানিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে কুলাউড়ার জালালিয়া সিনিয়র মাদরাসার সুপার মাওলানা আবদুস শহীদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত ১৩ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যালে আবদুস শহীদ আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠান। এর পর থেকে মাদ্রাসায় সুপার অনুপস্থিত। কিন্তু সহকারী এক শিক্ষক আব্দুস সামাদ প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় চাবি হন্তান্তর করছেন না সহকারী সুপারের কাছে।
কুলাউড়া শিক্ষা অফিসার মো: আনোয়ার বলেন- ‘সে প্রতিষ্ঠানে কোন কমিটি নেই। আর সহকারী সুপার দায়িত্ব পান করবেন এটাই স্বাভাবিক।’
এ নিয়ে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন-‘প্রতিষ্ঠানে কোন কারণে সুপার অনুপস্থিত থাকলে সহকারী সুপার সম্পন্ন তায়িত্ব পালন করনে।’
উল্লেখ্য, গত ১৯/০৮/২০১৯ইং তারিখে এক ছাত্রীর বাবা কুলাউড়া জালালিয়া সিনিয়র মাদরাসার সুপার মাওলানা আবদুস শহীদ এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা করেন। এরপর আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্তের পর পিবিআই মাদরাসা সুপার শহীদকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। এরই প্রেক্ষিতে গত ৮ জানুয়ারী আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।