নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আর মাত্র ছয় দিন পরে জাতীয় সংসদের অধিবেশন বসছে। এ জন্য মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন এটি অধ্যাদেশ না করে সরাসরি ওই অধিবেশনের শুরুতে বিলটি উত্থাপন করে পাস করার ব্যবস্থা করা হবে। এরপর ২৫, ২৬ বড়জোর ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ফল ঘোষণা করা হবে।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে পরীক্ষা ছাড়া এইচএসসি বা উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশে শিক্ষা বোর্ডগুলোর সংশোধিত আইন মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের বিষয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ তথ্য জানান।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা এই অনুমোদন দেয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠকে ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (সংশোধিত) অধ্যাদেশ, ১৯৬১’ এবং সংশোধিত ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৮’ ও ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০২০’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ সংশোধিত আইন অধ্যাদেশ আকারে জারির প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সংসদ অধিবেশন বসতে আর ৭ দিন বাকি আছে। তাই মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত দিয়েছে এটা অর্ডিন্যান্স করার দরকার নেই। এটা ভেটিং সাপেক্ষে সরাসরি অনুমোদন দেয়া হল, প্রথম দিনই এটা পুটআপ করে ২-৩ দিনের মধ্যে আইন করে যাতে ২৫, ২৬ বা ম্যাক্সিমাম ২৮ জানুয়ারির মধ্যে রেজাল্ট দিয়ে দেয়া যায়, এটাই আজকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
সাধারণত প্রতি বছর ১ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে থাকে। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারির কারণে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। এবার এইচএসসি ও সমমানের মোট পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন।
গত ৭ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে জানান, এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। জেএসসি, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হবে।