সুরাইয়া নাজনীন: সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিলওয়ার হোসেন কয়েছ। তিনি একজন মানবিক নেতা। নিজেকে নেতা ভাবার আগে একজন মানুষ মনে করেন। কথা হলো দিলওয়ার হোসেন কয়েছের সঙ্গে।

ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আপনার প্রতিক্রিয়া কি?

দিলওয়ার হোসেন কয়েছ বলেন, ‘এটি একটি আনন্দের বিষয় যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এতে কাজের স্পৃহা বেড়ে গেল শতগুন। এটা একটি আলোচিত ও আনন্দের বিষয় যা আগে কখনও ঘটেনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যার নির্দেশে এটি সম্ভব হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ।’

বিদেশে অনেক সময় ষড়যন্ত্রকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে, এটা কিভাবে মোকাবেলা করবেন?

এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীদের কাজই ষড়যন্ত্র করা। কিন্তু এখন সবাই নজরদারিতে আগে। এখানকার প্রশাসনও বেশ তৎপর। ব্রিগেডিয়ার মহসিন সাহেব এই বিষয়টি নিয়ে নজরদারি করেন সবসময়।’

দলকে চাঙ্গা করতে নতুন নতুন পদক্ষেপ কি নিবেন বা ভাবছেন?

দিলওয়ার হোসেন কয়েছ বলেন, ‘আসলে নতুন অনেক পরিকল্পনা হচ্ছে কিন্তু করোনার কারনে একটু সময় লাগছে। আপনারা হয়তো জানেন, ফ্রান্সে আবার নতুন করে করোনা আক্রান্তের হার বাড়ছে। এতে বড় হল নিয়ে কোন আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে দ্রুতই হয়তো শিথিল হয়ে যাবে, তখন নতুন নতুন কর্মসূচী নিবো। তাছাড়া মুজিববর্ষে আমাদের ব্যপক পরিকল্পনা ছিল আলাদা আলাদাভাবে কিন্তু করোনার জন্য তা সীমিত আকারে করতে হয়েছে।’

কর্মীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন?

তিনি বলেন, আমি সবসময় কর্মী হয়েই কাজ করি, নেতা হয়ে নয়। কর্মীদের জন্য আমার দুয়ার সবসময় খোলা।

প্রবাসি বাংলাদেশিদের জন্য করনীয় কি আছে?

দিলওয়ার হোসেন কয়েছ বলেন, ‘আমি সবসময় ব্যক্তিগত ভাবে প্রবাসি বাংলাদেশিদের পাশে দাঁড়িয়েছি, দাঁড়ায়। নতুন কেউ বিদেশের মাটিতে পা রাখলে যতটুকু সহযোগিতার দরকার পড়ে আমি করার চেষ্টা করি। আমার ঘরেই ৫-৭ হাজার লোক থেকেছে নতুন ফ্রান্সে এসে।’

দলের পক্ষ থেকে কিছু বলুন
তিনি বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে দলের পক্ষ হয়ে একটি প্লাটফর্ম করার ইচ্ছা আছে আর সেটা হবে বঙ্গবন্ধুকে চেনানোর প্লাটফর্ম। বঙ্গবন্ধু পাগল ছিলেন জাতির জন্য সেটা জাতিকে জানতে হবে।’