নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই আজও ইতালি থেকে দেশে ফিরেছে ২১০ জন বাংলাদেশি। তাদেরকে আশকোনা হজক্যাম্পে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে শনিবার ইটালি থেকে ফেরা ১৪২ বাংলাদেশিকে আশকোনার হজক্যাম্পে রাখার পর তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ।
তিনি বলেন, ১৫২ বাংলাদেশিকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের বিমানটি রোববার সকাল ৮টা ১০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে যাত্রীদের নামিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তবে তাদের কারো মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনো উপসর্গ মেলেনি। পরে তাদেরকে আশকোনার হজক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ওই বিমানটি ইটালির রোম থেকে যাত্রা করে দুবাই হয়ে ঢাকায় পৌঁছায়। সেখানেও তাদেরকে আলাদাভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় বলে জানানো হয়। তাদের কাছে রোম ও দুবাইতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সার্টিফিকেট আছে বলে জানান শাহরিয়ার সাজ্জাদ।
বিমানবন্দরের পরিচালক এ এইচ এম তওহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এর আগে শনিবার রাতে আরো দুটি ফ্লাইটে ৫৮ জন বাংলাদেশি ঢাকায় পৌঁছায়।
এছাড়া শনিবার এমিরেটসের ফ্লাইটে করে ১৪২ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরেন। তাদেরকে বিমানবন্দর থেকে আশকোনার হজক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়।
এদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এখনো পর্যন্ত ইটালিতেই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১৪৪০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে আরো হাজার হাজার মানুষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, চীনের পর ইউরোপই হয়ে উঠেছে করোনাভাইরাস মহামারির কেন্দ্রস্থল।
শনিবার এমিরেটসের একটি বিমানে চড়ে ইটালি থেকে বাংলাদেশে ফেরা ১৪২ জনকে হজক্যাম্পে নেয়া হলে ক্যাম্পের পরিবেশ নোংরা এবং থাকার অনুপযোগী এমন অভিযোগ তুলে সেখানে কোয়ারেন্টিনে থাকতে অস্বীকৃতি জানান ইটালি থেকে আসা প্রবাসীরা। ক্যাম্পের প্রবেশমুখে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা।
বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পের তত্ত্বাবধানে কিছু সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়। পরে এই ১৪২ জনকে হজক্যাম্প থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয় হোম কোয়ারেন্টিন করার জন্য।