1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০১:২২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বিদেশে বসেই এনআইডি সংশোধনের সুযোগ চান প্রবাসীরা বিএফইউজের সম্মেলনে প্রবাসী সাংবাদিক আবু তাহির ও লুৎফর রহমান বাবু ফ্রান্স প্রবাসী কুমিল্লার জাকির হোসেনের জানাজা সম্পন্ন বেলজিয়ামে আবু জাফর রাজুকে সংবর্ধনা প্রদান ভৈরবে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২৪ প্যারিসের স্থায়ী শহীদ মিনারে প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের শ্রদ্ধা প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্যারিসে স্থায়ী শহীদ মিনারের উদ্বোধন ‘ফ্রান্স বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ’ সফলভাবে সম্পন্ন কুলাউড়ার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি: আবু জাফর রাজু

রাজধানীর ১১ এলাকা ‘রেডজোন’ ঘোষণা

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩

নিউজ ডেস্ক: লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গুজ্বর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এজন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১১টি এলাকাকে ‘রেডজোন’ ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার।

এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ছয়টি এলাকা- যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলী, জুরাইন, মানিকনগর ও সবুজবাগ এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পাঁচ উচ্চঝুঁকিপূর্ণ এলাকা- উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও ও বাড্ডা রয়েছে।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পূর্বের বছরগুলোর তুলনায় বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং নিয়মিত মশা নিধন অভিযানসহ আপাতদৃষ্টিতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও ঢাকায় এডিস মশাবাহিত এ রোগের প্রকোপ স্মরণকালের ভয়াবহ পরিস্থিতি পার করছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, এডিস মশার প্রজনন স্থল (লার্ভা) ধ্বংস করতে চিরুনি অভিযানসহ তাদের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত মশা নিধন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

নগরীতে মশা জন্মানোর অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অনেককে জরিমানাও করা হয়েছে। তবে সিটি করপোরেশনের সকল প্রচেষ্টাই নিছক লোক দেখানো, এমন অভিযোগ অনেকের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজধানীর ১৮ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সাধারণত কোনো এলাকার ৫ শতাংশ বাড়িতে এই লার্ভা পাওয়া গেলে ওই পরিস্থিতিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

জাতীয় ম্যালেরিয়া ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় গত ১৮ থেকে ২৭ জুন জরিপ চালিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৯৮ ওয়ার্ডে চালানো এই জরিপে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক মশার প্রজননস্থল শনাক্ত, পূর্ণাঙ্গ মশা ও লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি লার্ভা পাওয়ার অর্থ ঢাকায় এবার এডিস মশাও বেশি পাওয়া যাবে।

ডেঙ্গুর প্রথম প্রকোপের বছর ২০০০ সালে সাড়ে পাঁচ হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। মৃত্যু হয় ৯৩ জনের। ওই সময় মহামারী ঘোষণার দাবি জানান রোগতত্ত্ববিদরা। তবে সরকার রাজি হয়নি।

এবারও পরিস্থিতি মহামারী পর্যায়ে যায়নি বলে মনে করছে সরকার। রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, ‘ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি অথবা মহামারীর মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, ‘ডেঙ্গুর পিক টাইম এখনো শুরু হয়নি। বিশ্বব্যাপী জ্বলবায়ুর যে প্রভাব, তাতে সামনে বৃষ্টি বাড়বে না কমবে, কেউ জানে না। পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, যেখানে-সেখানে ভবন নির্মাণের কারণে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে নিঃসন্দেহে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

এই রোগতত্ত্ববিদ বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে ইনফ্লুয়েঞ্জার মৌসুম চলছে। বর্তমানে যাদের জ্বর, সর্দি ও কাশি তার ৩০ শতাংশই ইনফ্লুয়েঞ্জা, পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ কোভিড এবং ১০ থেকে ১২ শতাংশ ডেঙ্গু। এর মধ্যে ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেশি হচ্ছে। ডেঙ্গুর চিকিৎসা জটিল কিছু না, গুরুত্বপূর্ণ হলো সময়মতো হাসপাতালে আসা। জ্বর হলে বিশ্রাম কিংবা চিকিৎসা না নিয়ে অনেকে বাইরে ঘুরে বেড়ায়। পরীক্ষা করতে চায় না, অবহেলা করে। কিন্তু ডেঙ্গু রোগীর জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি ফ্লুয়েড ম্যানেজমেন্ট। সঠিক সময়ে এটা না হলে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys