1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৭:১১ অপরাহ্ন

মোনাকো: যে আবেশে দিশাহারা

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : শনিবার, ২৫ জুলাই, ২০২০

লুৎফুর রহমান বাবু: মোনাকোর খুব কাছাকাছি থাকলেও সময় হয়ে ওঠে না এক ঝলক ঘুরে যাওয়ার। এবার অবাধ্য সময়ের কাটাকে শান্ত করে বেরিয়ে পড়লাম আকাশযাত্রায়। মাঝে মাঝে জীবনের ভার ছেড়ে দিতে হয় আকাশে।

হঠাৎ ভাবনায় যেন মোনাকো পাড়ি। বেশ লাগছে। পৃথিবীর এগলি ওগলি ঘোরার সাধ বহুদিনের। ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা অন্যদের তুলানায় বেশিদিন বাঁচে। যাইহোক ফিরে যাই মোনাকো বিশ্লেষণে। অনেকেই জানেন এই দেশ সম্বন্ধে।

পর্যটন শিল্প মোনাকোর অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। জনগণের জীবনযাত্রার মানও খুব উন্নত। প্রধান আর্কষণ ক্যাসিনো। বিশ্বের অন্যতম সেরা মোটর রেস ভেন্যুও মোনাকো। মোনাকোর কোনো রাজধানী নেই, তবে শহরের অভিজাত এলাকা মন্টে কার্লোকে দেশটির কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

 

মোনাকোর দিনগুলো

পৃথিবীর যে কোনো দেশের সকালের খবরের কাগজে খুন, রাহাজানি, দুর্ঘটনার মতো স্নায়ু উত্তেজক অপ্রীতিকর ঘটনার খবর থাকলেও পৃথিবীর দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ মোনাকোর সকালের খবরের কাগজে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা বা অপরাধের খবর থাকে না। ধনীদের এ দেশটি সুরক্ষিত, অপরাধ মুক্ত। হাজার হাজার ক্যামেরার চোখ নজর রাখছে দেশের আনাচে কানাচে। পাহারাদার সদা সতর্ক। দেশের সব গাড়ি, এমনকি নতুন আসা গাড়িরও ছবি ও নম্বর প্লেটের ছবি তুলে সঙ্গে সঙ্গে স্ক্যান করে দেশের সুরক্ষা ডাটাবেসের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়।

সমুদ্রসৈকত আর ক্যাসিনোর জন্য বিখ্যাত মোনাকো। এ কারণে সারা বিশ্বের ধনীদের কাছে এটি আকর্ষণীয় একটি জায়গা। এখানে প্রতি বছর প্রায় ১.৫ মিলিয়ন পর্যটক আসে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। তবে ক্যাসিনোগুলোতে মোনাকোবাসীর প্রবেশ নিষিদ্ধ। পৃথিবীর সব মিলিয়নিয়ার, বিলিয়নিয়ার, হলিউডের সুপার স্টাররা এখানে ছুটি কাটাতে আসে। মোনাকোর সমুদ্র বন্দরে গেলে দেখা যায় শতশত ছোট বড় অত্যাধুনিক প্রমোদতরী। পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ও বড় ইয়ট মোনাকোর সমুদ্রে ভাসে।

মোনাকো একটি দেশ যেখানে কোনো কৃষি বা গ্রাম নেই। দেশটির পুরো অংশই শহর। ২০১৬ সালে মোনাকো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ট্যাক্স ট্রান্সপারেন্সি চুক্তি করেছে, যা হয়তো ২০১৮ সাল নাগাদ কার্যকরী হবে।

মোনাকোর নিজস্ব কোনো ভিসা পদ্ধতি নেই কিন্তু ফ্রান্সের সাথে প্রতিবেশী চুক্তির কারণেই ভিসার ক্ষেত্রে সেনজেন নীতি পালন করে থাকে। যদি আপনার সেনজেন ভিসা থাকে তবে আপনি মোনাকো ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে বাড়তি ডকুমেন্টস হিসাবে আপনাকে লেটার অব ইন্টারেস্ট দিতে হবে অর্থাৎ কেন আপনি মোনাকো যেতে চাচ্ছেন তা লিখিতভাবে জানাতে হবে।

ভিসা পাওয়ার পরে প্রথমে আপনাকে ফ্রান্সের নিশ শহরে ‘কটি ডি আজুর এয়ারপোর্টে’ যেতে হবে। আর সেখান থেকেই এয়ারবাসে চলে যাবেন স্বপ্নের রাজ্য মোনাকোতে। আর ভিআইপিদের জন্য রয়েছে হেলিপোর্ট সার্ভিস। ফ্রান্সের নিশ এয়ারপোর্ট আর মোনাকোর হেলপোর্ট হচ্ছে একমাত্র উড়ন্ত যাতায়াত ব্যবস্থা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys