নিউজ ডেস্ক: স্কুল পালিয়ে আইএসের দলে নাম লিখিয়ে পরে আবার ব্রিটেনে ফিরতে চাওয়া শামীমা বেগমকে দেশটিতে ফেরার অনুমতি দিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসের সর্বোচ্চ আদালত কোর্ট অব আপিল।
এদিকে শামীমার আইনজীবী তাসনিম আখুঞ্জি বলছেন, পুরো বিষয়টা এখন নির্ভর করছে ব্রিটিশ হোম অফিস (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়)-এর ওপর।
হোম অফিস যদি ব্রিটেনের আপিল আদালতের আজকের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে, এবং যেটা করতে হবে আগামী সোমবারের মধ্যে, তাহলে মামলাটা চলে যাবে সুপ্রিম কোর্টের হাতে।
আখুঞ্জি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট তখন সেই আপিল আবেদন বিবেচনা করবে। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের রায়ই হবে চূড়ান্ত। এবং এটা করতে তিন থেকে চার মাস সময় লেগে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্কুলপড়ুয়া ৩ তরুণী যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় আইএসের সঙ্গে যোগ দেন। এদের মধ্যে শামীমা বেগম (২০) এবং খাদিজা সুলতানা (২১) ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। তারা পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি-অধ্যুষিত বেথনাল গ্রিন একাডেমি নামের একটি স্কুলের ছাত্রী ছিলেন।
সিরিয়ায় আইএস কোণঠাসা হওয়ার পর শামীমাকে একটি ক্যাম্পে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ২০১৯ সালে ব্রিটেনের ‘হোম অফিস’ থেকে তার নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। ঢাকার পক্ষ থেকেও সাফ জানিয়ে দেয়া হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে তার নাগরিকত্বের কোনো সম্পর্ক নেই। শামীমা নিজেও একাধিকবার বলেছেন, বাংলাদেশ নয়; তিনি ব্রিটেনেই ফিরতে চান।