নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১সনের স্বাধীনতা যেমনটি আমাদের রক্ত সাগরে কেনা হলেও সেরা অর্জন,তেমনি ১৯৭৫ সনের ১৫ই আগষ্ট, আমাদের সবচাইতে নিষ্ঠুরভাবে হারানোর দিন,বেদনায় বিদূর হওয়ার দিন। এ নৃশংস ঘটনার পূর্ণ বিচার আমরা এখনো পাই নাই।
ক্ষন গণনার হিসাবে আমরা এ জগন্য ঘটনার ৪৫ বৎসর অতিক্রম করেছি।এ ঘটনার পরে খুনিচক্র সেদিনের খুনের সাথে সম্পৃক্তদের রক্ষা করার জন্য অর্ডিনেন্স জারি করে (এ নৃশংস খুনের সাথে সম্পৃক্তদের বিচার করা যাবে না)।শুধুই কি তা-এসকল খুনিদেরকে বিদেশি মিশনে চাকুরির ব্যাবস্থা করে, পুরস্কৃত করে।
১৯৯৬ সনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এ নৃশংসতার বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়।কিন্ত ১৯৭৫ সনের পর দীর্ঘ ২১বৎসর বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতা দখল কারিরা হত্যার আলামত ধ্বংস, শাসনক্ষমতার রন্ধ্রে – রন্ধ্রে খুনিচক্রের স্তাবকদের দৌরাত্ম -তারপরেও জননেত্রী শেখ হাসিনার মানষিক দৃঢ়তা আর অকুতোভয় দুঃসাহসী মনোভাবের কারনে তা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু ২০০১ সনের নির্বাচনের পর তা আবারো বস্তাবন্দী হয়ে যায়।
২০০৮সনের শেষপর্যায়ের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পূনরায় তার কার্যক্রম শুরু হলে ৩৪ বৎসর ৫ মাস ১২ দিনের মাথায় এ জগন্য কাজে যারা সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলো তাদের একটা অংশের ফাঁশী কার্যকর করা হয়। এটাকে আমরা যদি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারিক রায়ের প্রতীকি হিসাবে বিবেচনা করি তাহলেও বাঙালির কপালে থাকা কলংক তিলক কিছুটা হলেও মুছে ছিল।
কিন্তু আজ এ নৃশংসতার ৪৬ বৎসরের মাথায় আমরা যদি ভাবি, আসলেই কি আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার পূর্ণ বিচার,পুরা বিচারটা করতে পেরেছি -অবশ্যই না।এ জন্যই আজকের দাবি “বঙ্গবন্ধুর হত্যার পূর্ণ বিচার ” করতে হবে।
কিন্তু কথা আসতে পারে পূর্ণ বিচার করতে হলে কি করতে হবে।
# বঙ্গবন্ধু হত্যার পূর্ব থেকে কারা বঙ্গবন্ধু হত্যার
ক্ষেত্র প্রস্তুত করনে কাজ করেছিলো, তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।
# বঙ্গবন্ধু হত্যার কারনে কারা সবচাইতে বেশি সুবিধা ভোগ করেছে, তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।
# কারা হত্যাকান্ড সংঘটিত করতে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলো, তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।
# আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কারা-কারা এজগন্য ঘটনাটি ঘটার নেপথ্যে কাজ করেছে এবং এ ঘটনার পর সুবিধা নিয়েছে, তা চিহ্নিত করতে হবে।
এ-সব কিছু মাথায় রেখে, এমনকি যদি একটু সময় বেশি লাগে তারপরও, আগামী প্রজন্মের কথা ভেবে, জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে *কমিশন* গঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিপূর্ণ বিচার-কার্য সম্পাদনা এখন সময়ের দাবি।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রি, যিনি বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার এবং আদর্শের উত্তরাধিকার, ১৯৭৫ সনের ১৫ই আগস্ট যিনি পরিবারের ১৮ জনকে হারিয়েছেন, তারপরও যিনি সবসময়ই এদেশের মানুষকে বুক আগলে রেখেছেন, আমাদের শ্রদ্ধেয়, মমতাময়ী, দেশরত্ন, জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এদাবি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
জয়বাংলা।
জয় বঙ্গবন্ধু
এম,এ,কাসেম,
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি,
ফ্রান্স আওয়ামী লীগ।