নিউজ ডেস্ক: পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়।
হিলি দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ অধিকাংশই পচা
রফতানি জটিলতার কারণে সীমান্তে লোড অবস্থায় থাকা পেঁয়াজগুলো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা হলেও অধিকাংশ পেঁয়াজই পচে নষ্ট হয়ে গেছে।
শনিবার আমদানি করা পেঁয়াজগুলো পাঁচ দিন ধরে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকে পড়ে। অতিরিক্ত গরমে পেঁয়াজ পচে নষ্ট হওয়ায় হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা বিপাকে পড়েছেন। তারা আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
এদিকে বন্দরের মোকামে একটু ভালো মানের পেঁয়াজ পাইকারি ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হলেও পচা বা নষ্ট পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গত ১৮ সেপ্টেম্বর এক সিদ্ধান্তে শুধুমাত্র ১৩ সেপ্টেম্বর এলসি করা পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দেয়। ফলে গত শনিবার সীমান্তে আটকে থাকা ১১টি ট্রাকে ২৪৬ টন পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আমদানি করা হয়। তবে সীমান্তে আটকে থাকা ১০ হাজার টন পেঁয়াজের অনুমতি দেয়া হয়নি। এ কারণে রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।
তিনি আরো জানান, শনিবার যেসব পেঁয়াজ দেশে নেয়া হয়েছে তার অধিকাংশই পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বন্দরের ব্যবসায়ীরা অর্ধ কোটি টাকার লোকসানে পড়েছেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপতানি বন্ধ করে দেয়। এর ফলে সীমান্তে ২৫০-৩০০ পেঁয়াজ বোঝাই ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকা পড়ে।