1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
প্যারিসে বর্ণিল আয়োজনে স্বরলিপি শিল্পী গোষ্ঠীর মনোমুগ্ধকর বৈশাখী মেলা ফ্রান্সে স্থায়ী হওয়ার দারুণ সুযোগ, দেখুন আবেদন প্রক্রিয়া ফ্রান্সের সিনেট ভবন পরিদর্শনে স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের দল ফ্রান্স বিএনপির আয়োজনে শহীদ জিয়ার ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন সাফ আয়োজিত প্যারিসে ৬ষ্ঠ বারের মতো বাণিজ্য মেলা ‘ঈদ বাজার ২০২৫’ ‘আমাদের কথা’ সংবর্ধনা দিল ফ্রান্স ক্রিকেট বোর্ড’র বাংলাদেশি সদস্যদের উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজের পদত্যাগ দাবি করলেন ইশরাক প্রবাসীদের কল্যাণের দৃঢ় প্রত্যয় ফ্রান্স বরিশাল বিভাগীয় কমিউনিটির আওয়ামী লীগের দুর্দিনে তৃণমূলের শেলুরা’ই দলের শক্তি আওয়ামী লীগের দুর্দিনে তৃণমূলের শেলুরা’ই শক্তি

দেড় মাসে ৫ বাংলাদেশির মৃত্যু স্পেনে

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

নিউজ ডেস্ক: গত দেড়মাসে স্পেনে ৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। এই অল্প সময়ের মধ্যে ৫জন প্রবাসীর মৃত্যু যে কোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চলতি ২০২০ সালে জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখ পর্যন্ত স্পেনের বিভিন্ন স্থানে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৃত্যুবরণ করেন তারা। এদের মধ্যে তিনজন জানুয়ারি মাসে এবং ২ জন ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে মৃত্যুবরণ করেন।

৫ জানুয়ারি চাঁদপুরের ইমদাদুল হক পাঠান (৫৫) স্পেনের বার্সেলোনায় বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগে মৃত্যুবরণ করেন। এর তিনদিন পর ৮ জানুয়ারি বার্সেলোনা প্রবাসী সিলেটের মৌলভীবাজারের আরব আলী (৫৭) ব্রেইন স্ট্রোকের আক্রান্ত হয়ে ফ্রান্সের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

একই মাসের ২৬ জানুয়ারি শরিয়তপুরের সিরাজ ইসলাম (৫৪) কাতালোনিয়ার সান্তাকলমায় বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগে মৃত্যুবরণ করেন।

ফেব্রুয়ারি মাসে মৃত্যুবরণ করেন আরও ২ বাংলাদেশি। এর মধ্যে ৩ ফেব্রুয়ারি শরিয়তপুরের কাজী আরজু (৫৮) স্পেনের গ্রান কানারিয়ার টেনেরিফে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এর এক সপ্তাহ পরে ৯ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের মো. জসীম পাটওয়ারী (৫১) স্পেনের করডোবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

এদের মধ্যে ইমদাদুল হক পাঠান, আরব আলী ও সিরাজ ইসলামের মৃতদেহ বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আর চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে মৃত্যুবরণ করা কাজী আরজুর মৃতদেহ টেনেরিফে লাশঘরে সংরক্ষিত অবস্থায় আছে।

তার মৃতদেহ শুক্রবার বাংলাদেশে পৌঁছার কথা রয়েছে। সর্বশেষ মৃত্যুবরণ করা জসীম পাটওয়ারীর মৃতদেহ সান্তাকলমায় লাশঘরে সংরক্ষিত আছে। কবে নাগাদ তার মৃতদেহ বাংলাদেশে পাঠানো হবে তা জানা যায়নি। বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন লোকজন স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে তার লাশ বাংলাদেশে পাঠানোর তহবিল গঠনের প্রচেষ্টা করছেন।

এ দিকে ৫ সপ্তাহের মধ্যে ৫টি মৃত্যু সংবাদে পুরো স্পেন জুড়ে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও শোকাবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনাগুলো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত প্রায় সব প্রবাসী বাংলাদেশির মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে। মৃতব্যক্তির লাশ বাংলাদেশে তার স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য স্পেনের বাংলাদেশি কমিউনিটির লোকজন এগিয়ে আসেন এবং স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে মৃতের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে থাকেন।

উল্লেখ্য, এখানে কারও মৃত্যু হলে তার মৃতদেহ বাংলাদেশে পাঠাতে বাংলাদেশের মুদ্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়। মূলতঃ স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ ও বানিজ্য শহর বার্সেলোনা যেখানে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশির বসবাস, এই দুই শহর থেকেই এই তহবিল সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।

এছাড়া স্পেনের মাদ্রিদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে আবেদন করলে, দূতাবাস লাশ পরিবহনের ক্ষেত্রে শুধু বিমানভাড়া নির্দিষ্ট ভাউচারের মাধ্যমে মৃতের পরিবারকে প্রদান করে থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys