1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন

করোনাভাইরাস: এটাই কি তবে শেষ দেখা!

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২০

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের বিখ্যাত ব্যান্ডশিল্পী জেমসের গানটির লাইন চীনের ৬ সহস্রাধিক নার্সদের জীবনের সঙ্গে মিলে যাবে, এটা কি কেউ ভেবেছিল? চাকরি বাঁচানোর জন্য নিশ্চয়ই কেউ নিজের জীবন দিয়ে দেবে না? জেনেশুনে নিজেকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবে না? চীনের এই নার্সরা সেটাই করেছে, যাকে পরিস্কার বাংলায় বলে ‘মানবতা’। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সেবার জন্য নিজেদের উৎসর্গ করেছেন এই সেবিকারা।

সংবাদের কাভারে ট্রেনের ভেতরে থাকা যে নার্সটিকে দেখতে পাচ্ছেন, তার নাম হু লিংলিং। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সেবার জন্য সাংহাইয়ের সেন্ট্রাল হাসপাতাল থেকে আরও অনেক নার্সের সঙ্গে লিংলিংও যাচ্ছেন উহান শহরে। ট্রেনে উঠে কাঁচের জানালার এপাশে থাক স্বামীকে বিদায় জানাচ্ছেন তিনি। কাঁচের দূর্গ ভেদ করে যেন একবার স্পর্শ পাওয়ার চেষ্টা। বেঁচে থাকলে দেখা হবে- বিষয়টা অনেকটা এমন! করোনাভাইরাস যে তাকেও ছাড়বে না!

ভয়ংকর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে ইতোমধ্যেই ১৭০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, দেশটিতে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৭১১ জন। এই ভয়াবহ দুর্যোগ ঠেকানোর জন্য সারা দেশ থেকে ৬ হাজার মেডিক্যাল কর্মীকে উহান শহরে পাঠিয়েছে চীন সরকার। নার্স লিংলিং তাদের অন্যতম।

করোনাভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে! শ্বাস-প্রশ্বাস, খাবার এমনকী হ্যান্ডশেক করার মাধ্যমেও দ্রুত ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। এই ভাইরাস ঠেকাতে এখনও কোনো টিকা বা চিকিৎসা আবিস্কৃত হয়নি। প্রচলিত ব্যবস্থাতেই চলছে রোগীদের চিকিৎসা। রোগীদের সেবায় মৃত্যুভয় তুচ্ছ করে কাজ করে যাচ্ছেন ডাক্তার-নার্সরা। এই ৬ হাজার ডাক্তার-নার্স থেকে সবাই করোনাভাইরাসের হাত থেকে বেঁচে ফিরতে পারবেন কিনা, কেউ জানে না!

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys