1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন

কমিউনিটির এগিয়ে যাওয়ায় গণমাধ্যমের ভূমিকা ও দায়বদ্ধতা

সম্পাদকীয়
  • আপডেট : বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২০
ফ্রান্সে বাংলাদেশীদের যাত্রা সত্তরের দশক থেকে শুরু হলেও আশির দশকের পর থেকেই আস্তে আস্তে বাংলাদেশীরা এদেশে বসতি শুরু করেন ।মূলত নব্বই দশকের পর থেকে সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ২০০০ সালের পর তা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য জানা না থাকলেও ধারণা করা হয় বর্তমানে দেশটিতে ৫০ হাজারের অধিক প্রবাসী বাংলাদেশী বাস করছেন যা দিনে দিনে বৃদ্ধিই পাচ্ছে ।
প্রতিনিয়তই বসবাসকারী এসব প্রবাসী বাংলাদেশীদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে নানা সমস্যার। ফরাসি ভাষা ভালোভাবে না জানার কারণে সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে তাদেরকে বেশ বেগ পেতে হয়। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি এখন যেন অনেকটা নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে এখানে। বিশেষ করে কাজ থেকে ফেরার পথে প্রায়ই আক্রমণের শিকার হচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বলা বাহুল্য স্থানীয় থানাগুলোতে আক্রমণের শিকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা অভিযোগ দিয়ে খুব একটা প্রতিকারও পাচ্ছেন না !
গত কয়েক বছর আগে আবুল কালাম মামুন নামে এক সাংবাদিক ছিনতাইকারীদের আক্রমণে মারাত্মক আহত ও রুহুল আমিন নামে এক প্রবাসী গুলির শিকার হলে স্থানীয় সাংবাদিকরা মাঠে নামেন । বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দিলে কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে এক প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়। স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হয় ছিনতাই প্রবণ এলাকাগুলিতে টহল পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হবে কার্যক্ষেত্রে কিছুটা বাড়ানোও হয়।
এবার আসা যাক ধীরে ধীরে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীদের যে সংখ্যা বাড়ছে এই কমিউনিটিতে সেই কমিউনিটি কতটুকু এগিয়ে যাচ্ছে ।
এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ভাষাগত সমস্যা।এই সমস্যা নিরসনের ক্ষেত্রে স্থানীয় কমিউনিটির উদ্যোগে কোন প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি। যদিও স্থানীয় মেরি কিংবা বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অনেক ভাষা শিক্ষার স্কুল রয়েছে তবে নবাগত বাংলাদেশিরা শেখানে গিয়ে ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না এবং খাপ খাওয়াতে পারেন না ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই তারা ঝরে পড়েন।
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করছি,আমার সাথে একবার এক শ্রীলঙ্কান অধিবাসীর কথা হয় তিনি আমাকে জানান- শ্রীলংকার নতুন কেউ আসলে তাকে প্রথমে থাকার ব্যবস্থা এবং ভাষা শিক্ষা সহ প্রাথমিক খরচের একটি ব্যবস্থা করে দেন স্থানীয় শ্রীলংকান কমিউনিটি এবং তার সাথে শর্ত তাকে তিনি স্বাবলম্বী হবার পর তার পেছনে যে অর্থ ব্যয় হবে তিনি তা পরিশোধ করবেন। এবং তিনি তা পরিশোধও করেন। এই প্রক্রিয়া ধারাবাহিকভাবে সবার ক্ষেত্রে চলতেই থাকে।
এদেশে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের জন্য বাংলা ভাষা শেখানোর জন্য একটি স্কুল চালু আছে তবে তা যথেষ্ট নয়।
নেই কোনো স্থায়ী শহীদ মিনার।
এবার আসা যাক গনমাধ্যমের ভূমিকার বিষয়ে। অনলাইন বিভিন্ন পোর্টাল ছাড়াও এখন পর্যন্ত প্রায় আটটি মুদ্রণ বাংলা পত্রিকা নিয়মিত ,অনিয়মিত বের হচ্ছে এই ফ্রান্সে ।স্থানীয় কমিউনিটির সংবাদের পাশাপাশি নানা সমস্যা এবং সম্ভাবনার বিষয়টি তারা তুলে ধরছে নিয়মিতই । মূলধারার নানা তথ্য-উপাত্তও নিয়মিত জানাচ্ছে কোন কোন পত্রিকা।
তবে একটি শক্তিশালী কমিউনিটি গড়ার ক্ষেত্রে তারা হয়তো বা আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতো। এক্ষেত্রে বড় একটি সমস্যা বিভাজন। গাছের শাখা প্রশাখার মত কমিউনিটি এখানে বিভাজিত হওয়ায় কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারছে না ফ্রান্সের বাংলাদেশ কমিউনিটি । দুঃখজনক হলেও সত্য গণমাধ্যম কর্মীরাও এখানে নানাভাবে বিভক্ত !
সাধারণ প্রবাসী বাংলাদেশিরা মনে করেন- কমিউনিটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় গণমাধ্যমের যে জোরালো ভূমিকার প্রয়োজন ছিল তা অনেকাংশেই নেই যার ফলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারছে না কমিউনিটি।
আর তা যদি সত্য হয় স্থানীয় গণমাধ্যম কি তার দায় এড়াতে পারে?
মোঃ লুৎফুর রহমান বাবু
প্রধান সম্পাদক ,আমাদের কথা

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys