নিউজ ডেস্ক: বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের চশমা, স্যান্ডেল ও ব্যাংকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ। স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ভাইয়ার চশমা আর পায়ে থাকা স্যান্ডেল আমরা পাইনি। পুলিশও আলামত হিসেবে জব্দ করেনি। জানি না কীভাবে আসামিরা এগুলা বাইরে সরিয়ে ফেললো!
কিছু বিষয় শিরোনামে তিনি লেখেন-
১. ভাইয়ার চশমা আর পায়ে থাকা স্যান্ডেল আমরা পাইনি। পুলিশ ও আলামত হিসেবে জব্দ করেনি। জানি না কিভাবে আসামীরা এগুলা বাইরে সরিয়ে ফেললো!
২. ভাইয়ার ভার্সিটির বই বাদে কোনো বই আমরা পাইনি। (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, ক্রাচের কর্নেল, মহানায়ক, মিসির আলি সমগ্র, সানজাক এ উসমান, লৌহমানবসহ প্রায় ১২টি বই)
৩. ভাইয়া টাকা রাখতো যেই একাউন্ট বা ব্যাংকে তার কোনো কাগজ বা কিছুই পায়নি।
আর চার্জশিটে বিটু বাদ গেল কীভাবে আমরাও জানিনা; এই ব্যাপারে আদৌ সে জড়িত কিনা! কিন্তু তাকে বুয়েট থেকে বহিষ্কার করায় সে রিট করবে শুনেছি।
ভাই একটা সত্যি বলি? এই পুরো ব্যাপারে সবচেয়ে অসহায় আমরা। আমরা নিজেরাও সঠিক কিছুই জানি না। আর এইটা সিনেমাও না যে সামনে থেকে দেখেছি আর সব সত্যি বলে দিব। আমরা ভাইয়ের কয়েক ইঞ্চি মুখ বাদে কিছুই শেষ বারের মতো দেখতে পারিনি। একটা শেষ বারের জন্য স্পর্শ ও করতে পারিনি। মৃত্যুর সময় কাছের কেউ না থাকার কষ্ট বোঝেন; যখন বুঝছে আর কখনো দেখা হবে না আত্মীয়দের সাথে? পোস্টমর্টেম-এর ছবিগুলাও এফবিতে আসার কিছুক্ষণ পর গায়েব হয়ে গেছে। এতই বিভৎস ছিল যে ফোনে সেভ করার সাহস পাইনি।
ক্ষতিপূরণ বিষয়ক কোনো ব্যাপার না জেনে-শুনে ভুলভাল কথা না ছড়ালেই খুশি হব; যদিও কোনো ধার ধারী না কারোর উল্টা পাল্টা চিন্তা ভাবনার।
প্রসঙ্গত গত ৫ অক্টোবর দিল্লিতে হায়দ্রারাবাদ হাউসে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এসব চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ। পরদিন রাতে বুয়েট শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।