নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর কলাবাগানের বন্ধুর বাসায় গিয়ে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় নিহতের প্রেমিক ও মূল অভিযুক্ত দিহানসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। তবে ধর্ষণের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া চারটার দিকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল থেকে নিহত ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কলাবাগান থানা পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, আনুশকা নামের ওই শিক্ষার্থী কলবাগানে তার প্রেমিক দিহানের বাসায় যান। সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়লে দিহান নিজেই তাকে হাসপাতালে আনেন। তাদের মধ্যে দুই মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে প্রাথমিকভাবে তিনি জানিয়েছেন।
ওই কিশোরীর চাচা শরীফ মাহমুদ বলেন, সকালে তাকে কলাবাগানের এক বাসায় ডেকে নিয়ে যায় তারই এক বান্ধবী। সেখানে উপস্থিত থাকা তার বন্ধুরা মিলে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে এক পর্যায়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে তারা নিজেরাই মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিহতের পরিবার জানায়, গ্রুপ স্টাডির কথা বলে আনুশকাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। আনুশকা সকালে নিজেই তার মাকে জানায়, পড়াশোনার প্রয়োজনে তাকে বাইরে যেতে হবে। পরে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দিহান নিজেই আনুশকার মাকে ফোন করে জানায়, আনুশকা অসুস্থ। এরপর আবার দিহান ফোন করে জানায়, আনুশকা মারা গেছে।
সেখানকার চিকিৎসকের বরাত দিয়ে পরিবার জানায়, আনুশকাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। তার মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষণের ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে মামলা দায়ের করতে ইতোমধ্যে কলাবাগান থানায় গিয়েছেন নিহতের স্বজনরা। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এদিকে, কলবাগানের ডলফিন গলির ওই বাসা থেকে নানা আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
ডিএমপির রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইহসানুল ফিরদাউস বলেন, এই ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজনসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। তবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কি-না সেটি এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, নিহতের বিষয়ে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, নিহত শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনের প্রেমিক দিহানকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া, হাসপাতালে তার সঙ্গে তিনজন এসেছিল, তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।