নিউজ ডেস্ক: সিলেটের পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটে যাচ্ছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসু না হওয়ায় সন্ধ্যায় ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এদিন বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি গোলাম হাদী ছয়ফুল বাংলানিউজকে বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে কোনো সিদ্বান্ত না হওয়ায় তারা ধর্মঘটে অনড় রয়েছেন। মঙ্গলবার থেকে ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘট শুরু হবে। আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।
তিনি বলেন, সিলেটের পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় প্রায় ১৫ লাখ মালিক-শ্রমিক মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এতে করে পরিবহন ব্যবসাসহ সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বৃহত্তর সিলেটের অর্থনৈতিক অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে।
এরই মধ্যে পাথর কোয়ারি খুলে দিতে বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি ও সিলেট জেলায় ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করা হয়েছে। পাথর কোয়ারি খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও খুলে দেওয়া হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে সিলেট বিভাগে সব ধরনের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির আহমদ বলেন, ধর্মঘট আহ্বান করার কারণে জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার ফরিদ আহমদ সোমবার বিকেলে মালিক ও শ্রমিক নেতাদের ডেকেছিলেন। এ সময় মালিক ও শ্রমিকরা তাদের যৌক্তিক দাবি তুলে ধরেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানালেও সংকট সমাধানে কোনো আশ্বাস দেননি।
বৈঠকে সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি আলহাজ গোলাম হাদী ছয়ফুল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির আহমদ ফয়েজ ছাড়াও জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সরকারসহ পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, সন্ধ্যায় সাব্বির আহমদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবহন ধর্মঘটে সিলেট বিভাগের বাস, ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, কোচ, লেগুনা, ট্যাংকলরি, সিএনজি অটোরিকশাসহ সব ধরনের পরিবহনের চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে অ্যাম্বুলেন্স, বিদেশ যাত্রী, ফায়ার সার্ভিস, সংবাদপত্র ও জরুরি ওষুধবহণকারী গাড়ি ধর্মঘটের আওতায় থাকবে না। ধর্মঘট পালনে সিলেট বিভাগের সর্বসস্থরের পরিবহন ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান নেতারা।
ধর্মঘট সফলের জন্য এরই মধ্যে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা সভা সমাবেশ করেছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।