নিউজ ডেস্ক: হরিণের মাংসসহ ৪ যুবককে আটক করে মঙ্গলবার দুপুরে জেল হাজতে পাঠিয়েছে মোংলা থানা পুলিশ। এ যুবকদের কাছ থেকে ৫টি পৃথক পলিথিনে প্যাকেটজাত করা অবস্থায় ২৫ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, সোমবার দিবাগত মধ্য রাতে উপজেলার চিলা ইউনিয়নের হলদিবুনিয়ার বালুর মোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। এ সময় তারা পৃথক দুটি মটর সাইকেল যোগে দুজন দুজন করে আলাদা আলাদা ভাবে মোংলার উদ্দেশ্যে আসছিলেন জানিয়েছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, জপতোষ মণ্ডল (৩৮), টিটু মণ্ডল (২৭), নাজমুল মল্লিক (৪৯) ও অনিমেষ মণ্ডল (৩৮)। তাদের বাড়ি মোংলা, খুলনা ও গোপালগঞ্জ জেলায়। এদের দুজন স্থানীয় এক এনজিওতে কাজ করার সুবাদে মোংলায় থাকেন।
আটকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে তারা শখের বসে খাওয়ার জন্য মোংলা বৌদ্ধমারী এলাকা থেকে হরিণের মাংস ক্রয় করেছে। কে বিক্রি করেছে তাদের কাছে হরিণের মাংস?
জানতে চাইলে থানার উপ-পরিদর্শক অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম আটককৃতদের বরাত দিয়ে বলেন ‘ তারা বৌদ্ধমারী থেকে ৭/৮শ টাকা দরে কিনেছে। আরো কিছু তথ্য তারা দিয়েছে। তাদের তথ্য সব যে সত্য হবে এমন নয়। আমরা তদন্ত করে সত্যতা মিললে ব্যবস্থা নিবো।
খবর নিয়ে জানা গেছে, মোংলার বনসংলগ্ন বেশ কিছু গ্রামে নিয়মিত বসছে হরিণের মাংস বেচাকেনার গোপন হাট। কেজি প্রতি ৭/৮শ’ টাকায় এসব হাটে মিলবে হরিণের মাংস।
সুন্দরবন সংলগ্ন মংলা উপজেলার জয়মনী, চিলা, বাঁশতলা, বৌদ্ধমারী, বাণীশান্তা মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ঝিউধরা, গুলিশাখালী, সন্ন্যাসী, শরণখোলা উপজেলার আমড়াতলা, ধানসাগর, তাফালবাড়ি, চালিতাবুনিয়া, বগি খুলনার দাকোপের ঢাংমারী, খাজুরা প্রভৃতি এলাকায় সুযোগ বুঝে শিকারিরা অনেকটা প্রকাশ্যেই হরিণের মাংস বিক্রি করে থাকে।
সূত্র মতে, মাংস, চামড়া ও শিংয়ের ব্যাপক চাহিদার কারণেই পেশাদার শিকারিরা হরিণ নিধনে মেতে ওঠে। এছাড়া এক শ্রেণির ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তি নিতান্তই শখের বশে হরিণ শিকার করে থাকেন।