ইয়ারা যোহারীন:
নারীর ক্ষমতায়নে গ্রামভিত্তিক অনুপ্রেরণামূলক কার্যক্রম
আজ জাতীয় কন্যা শিশু দিবস, জন্মের পর থেকে বেশির ভাগ কন্যাশিশুই লিঙ্গ বৈষ্যমের শিকার হয়, অনেক শিক্ষিত সচেতন পরিবারেও এটি হয়ে থাকে। এমনকি খেলনা কিনে দেবার সময় কন্যাদের হাতে হাড়ি পাতিল ঘরকন্যার কাজ ধরিয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু একজন মেয়ের হওয়া উচিত ঘরে-বাইরে স্বনির্ভরতার প্রতীক, তাই কন্যাকে গড়ে তুলতে হবে বিশেষ মানসিকতায় , লোকে কি বললো সেদিকে কান না দিয়ে মনোযোগী হতে হবে।
কন্যার জীবন গড়ার সঠিক খাদ্যাভাস, নিয়মিত শরীরচর্চা , পড়াশুনা , সুস্থ বিনোদন, সংস্কৃতিচর্চার শখ বইপড়া সবকিছুই রুটিন মাফিক চালিয়ে যেতে হবে, ব্যক্তিত্ব গঠনে মার্জিত কথাবার্তা আচরন শেখাতে হবে শিশুকে, শিশু যেন স্বার্থপর না হয়ে মানবিকগুন সম্পন্ন হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নিজের ছোট ছোট কাজ নিজেকে করতে দিন এমনকি সহযোগিতাও করতে দিন পারিবারিক কাজে, মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ট্যাবের ব্যবহার পরিহার করিয়ে খেলাধূলা শখের সৃজনশীলতা শেখানো যেতে পারে, শিশুকে যেমনটা শেখানো হবে সে ঠিক তেমনই গড়ে উঠবে প্রত্যেকটা কাজ যেন সে নিজে করতে পারে সে মানসিকতায় বড় করতে হবে।
বর্তমানে অনেক বেশি কন্যা শিশু নির্যাতনের খবর আমরা পাই , তাই শিশুকে শেখাতে হবে গুড টাচ ব্যাড টাচ এবং আত্মরক্ষার কিছু কৌশল যেগুলো ইউটিউব দেখে অনায়াসে শেখা যায়।
উচ্চভিলাষী জীবন যাপন, সব আবদারপূরন জেদ মেনে নেওয়া এতে শিশু স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠে এ মনোভাব যেন নাহয় সেজন্য শিশুদের আয় বুঝে ব্যায়ের ধারনা দিতে হবে।
কেবল সাজগোজ বিষয়াদিতে উন্মাদ না হয়ে আপনার কন্যা যেন নিজে ও সৃজনশীলতায় মন দেয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে
আজকের কন্যা শিশুই আগামীতে দেশের হাল ধরবে তাই তার মেধা মননের বিকাশে প্রচুর সময় দিতে হবে বাবা মা কে, অবশ্যই শিশুর সামনে কোন ঝগড় করে শিশুর মনে কোন নেগেটিভ বীজ বপন করা যাবে না, আত্মনির্ভরশীল ও সাহসী হয়ে বেড়ে উঠুক বাংলার কন্যা শিশুরা। যেটা নিশ্চিত করতে হবে শিশুর পরিবার থেকেই। পরিবার থেকেই শিশুর ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে কারন পরিবারই প্রথম স্কুল।
লেখক: ইয়ারা, প্রতিষ্ঠাতা (ইনভিশন একশন রিওয়ার্ড, এ্যাসেট)
মডেল: দিবা সাজ্জাদ