নিউজ ডেস্ক: এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত ডিএনসিসির প্রথম সভায় মেয়র আতিকুল ইসলাম এই অভিযান সর্বাত্মকভাবে সফল করতে নবনির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের প্রতি আহবান জানান।
মেয়র বলেন, আগামীকাল থেকে ডিএনসিসির অঞ্চল ১ থেকে ৫ এর প্রতিটি অঞ্চল থেকে ১টি করে ওয়ার্ডে এ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। রমজান ও করোনা ভাইরাসের কথা বিবেচনায় নিয়ে ঈদের আগ পর্যন্ত মোট ৫টি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। তবে ঈদের পরে ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে এই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে অনুষ্ঠেয় চিরুনি অভিযানে প্রাপ্ত এডিস মশার বংশ বিস্তারের বিস্তারিত তথ্য (ছবি, বাড়ি/ভবন/প্রতিষ্ঠানের মালিক, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি) সাথে-সাথে ডাটাবেইজে সংরক্ষণ করা হবে। এর ফলে ডিএনসিসি এলাকার কোথায় কোথায় এডিস মশার বংশ বিস্তার ঘটছে তার একটা তালিকা পাওয়া যাবে। সকল তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে ডিএনসিসির উর্ধতন কর্মকর্তাগণ দেখতে পাবেন এবং পরবর্তীতে তা মনিটর করা সহজ হবে।
ডিএনসিসির বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য নির্বাচনী ইশতিহার বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগরবাসীর কল্যাণসাধন করা। আমাদের কাছে নগরবাসীর অনেক প্রত্যাশা। তাই কথায় নয় কাজে প্রমাণ দিতে হবে। মানুষের আশা-আকাংখার বাস্তবায়ন করতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে সাংবাদিক ও জনগণ কেউই ছাড় দিবে না।’
কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘মশক নিয়ন্ত্রণ যেন ঠিক মতো হয় সেজন্য প্রত্যেক কাউন্সিলর ব্যক্তিগতভাবে মনিটর করবেন। নির্ধারিত গুণ ও পরিমান বজায় রেখে মশার কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে কিনা তা আপনাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ত্রাণ বিতরণ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘ত্রাণ বিতরণে জিরো টলারেন্স। যাদের প্রকৃতপক্ষে ত্রাণের প্রয়োজন, তাদেরকে ত্রাণ দিতে হবে। ত্রাণ নিয়ে কোনোরকম নয় ছয় সহ্য করা হবে না’। প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের মাধ্যমে যে পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ করা হয়, একই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরের মাধ্যমে তার ২০ শতাংশ ত্রাণ বিতরণ করার নির্দেশ তিনি দেন।
তিনি কাউন্সিলরদেরকে প্রতি মাসে একবার ফেইসবুক লাইভে এসে জনগণের মুখোমুখি হওয়ার আহবান জানান।