নিউজ ডেস্ক: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় শূকরের অবাধ বিচরণে পৌর শহরের ২ ও ৬ নং ওয়ার্ডের দেড় সহস্রাধিক পরিবারের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন । অবাধে শূকর বিচরণের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে পৌরবাসী। উন্মুক্তভাবে পালন করা এ সব শূকর প্রতিদিনই যেখানে সেখানে মল-মূত্র ত্যাগ করে পরিবেশ দূষণ করছে। এছাড়া রাস্তা-ঘাটে অবাধে বিচরণর করায় জনসাধারণের চলচলেও বিঘ্নে ঘটছে। বিভিন্ন জীবাণু বহনকারী শুকুর গুলি কবরস্থান, মন্দীর ও বসত বাড়িতে ঢুকে পড়ায় জুনোটিক ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা করছেন এলাকার সচেতন মহল । কারন ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস শূকরের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে । ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানা যায়, মানবদেহে নতুন নতুন যেসব সংক্রমণ রোগ দেখা দেয় – তার বেশিরভাগই আসে বন্যপ্রাণী থেকে। অনেক বিশেষজ্ঞদের ধারনা করোনা ভাইরাসের জন্মও হয়েছে বাদুড় নামক প্রাণী থেকে। ২০০৯ সালে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল সোয়াইন ফ্লু। যা শূকরের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল।
হরিজন সম্প্রদায়ের পালিত এই শূকরগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কয়েকবার বলা হলেও উল্টো স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দাদের ওপর ক্ষেপে গিয়ে হামলার চেষ্টা চালায় । পরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠলে খবর পেয়ে পৌর কাউন্সিলর কায়ছার আরিফ, রাসেল আহমদ চৌধুরী এবং কুলাউড়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ হরিজন সম্প্রদায় কোন নিয়মনীতি না মেনে তাদের পালিত এসব শূকর অবাধে বিচরণের জন্য ছেড়ে দেয়ে। আর শূকররা ক্ষেতের ফসল নষ্ট করে দেয়। তাছাড়া শূকর বাসা বাড়িতে ঢুকে যাওয়ায় ছোট বাচ্চারা আতঙ্কে থাকে। হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন বলছে, শূকর পালনের অনুমতি দিয়েছে পৌরসভা । অন্য দিকে স্থানীরা প্রশ্ন, যেখানে পৌরশহরের ভিতরে গবাদিপশুর ফার্ম করতে অনুমতি পাওয়া যায় না, সেখানে কিভাবে পরিবেশ ও মানুষের ক্ষতিক্ষারক শূকর পালনের অনুমতি কিভাবে পায় ? আবার অনেকের অভিযোগ তীর পৌর কাউন্সিলর কায়ছার আরিফের দিকে । তার কারণে হরিজনরা শূকর পালনে কোন নিয়মনীতি মানছেন না । বিষয়টি থেকে পরিত্রাণ পেতে এলাকাবাসী প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।