1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ফ্রান্সে শিশুতোষ ‘ইপিএস কমিউনিটি মেধা অন্বেষণ’ অনুষ্ঠান সম্পন্ন অভিভাবক সমাবেশে শিক্ষার আলো ছড়াল বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ প্যারিসে ২৫তম ট্রপিক্যাল কার্নিভাল উদযাপন ফ্রান্সের চাহিদাসম্পন্ন পেশার জন্য দরকারি তথ্য সিভি জমার মধ্য দিয়ে ফ্রান্স বিএনপি নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে হতাশা প্রকাশ ভারতের রহস্যজনক মৃত্যু ‘কাটা লাগা’খ্যাত শেফালির আবারো ইরান হামলার হুমকি ট্রাম্পের! ষড়যন্ত্র আর নোংরামি আর যেসব অভিযোগ এনে ‘বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম’ ছাড়লেন উমামা প্যারিসে বর্ণিল আয়োজনে স্বরলিপি শিল্পী গোষ্ঠীর মনোমুগ্ধকর বৈশাখী মেলা

আগুন কেড়ে নিল ইতালিত প্রবাসী পুরো পরিবারকে, পড়ে রইল ভিসা-পাসপোর্ট

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪

নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগে ইতালিতে গ্রিন কার্ড পেয়ে সবাইকে সেখানে নিয়ে যেতে দেশে আসেন মোবারক হোসেন।

আর কিছুদিন পরই পুরো পরিবার নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল সৈয়দ মোবারক হোসেনের। দেশ ছাড়ার আগে স্ত্রী-ছেলে-মেয়েকে নিয়ে একসঙ্গে খেতে গিয়েছিলেন রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে বিরিয়ানির দোকান কাচ্চি ভাইয়ের শাখায়।

পরিবারের সবাইকে নিয়ে সেখানেই যাওয়াই কাল হল মোবারক হোসেনের। এই পরিবারের পাঁচজনের সবাই এখন লাশ।

শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই পরিবারের পাঁচজনের লাশ বুঝে নিতে এসে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ কথা বলছিলেন মোবারকের দুলাভাই সৈয়দ গাউসুল আজম।

তিনি বলেছেন, মোবারক হোসেন বেশ কয়েক বছর ধরে ইতালিতে প্রবাসী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়; দুই মেয়ে সৈয়দা কাসফিয়া, সৈয়দা নূর এবং ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহকে নিয়ে মোবারকের স্ত্রী স্বপ্না থাকতেন ঢাকার মধুবাগে।

কিছুদিন আগে ইতালিতে গ্রিন কার্ড পেয়ে সবাইকে সেখানে নিয়ে যেতে দেশে আসেন মোবারক হোসেন। তাদের ইতালি যাওয়ার ফ্লাইট ছিল চলতি মাসের ১০ তারিখে।

সৈয়দ গাউসুল আজম বলেন, “ভিসা-পাসপোর্ট সব রেডি। কিছুদিন পরই তাদের ইতালির ফ্লাইটে চড়ার কথা ছিল। যাওয়ার আগে সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করতে কাচ্চি ভাইয়ে গিয়েছিল। মোবারক তার ছোট ভাইকেও যেতে বলেছিল। গেলে হয়ত আজকে সেও লাশ হয়ে ফিরতে হত।

“আমি শুনেছি সিড়িতে নাকি সিলিন্ডার গ্যাস রেখেছে। এগুলোর বিস্ফোরণে আগুন আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। আমি আশা করব, এগুলো নিয়ে সরকার যেন কঠিন পদক্ষেপ নেয়, যাতে আর কোনো পরিবারের এমন ক্ষতি না হয়।”

সবাইকে গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দাফন করা হয়েছে বলে জানান গাউসুল আজম।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুন লাগে। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ছিল বিরিয়ানির পরিচিত খাবার দোকান ‘কাচ্চি ভাই’ এর শাখা, পোশাকের ব্র্যান্ড ইলিয়েন, নিচের তলায় স্যামসাং এর শোরুমসহ আরও বেশ কিছু দোকান। স্যামসাংয়ের শোরুমের পাশে রয়েছে একটি কফি শপ। এরকম কফির দোকানসহ ফাস্টফুডের অনেকগুলো দোকান ও রেস্তোরাঁ রয়েছে ভবনটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে।

প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিভিয়ে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। এরপরই আসতে থাকে একের পর এক মৃত্যুর খবর।

ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া ৪৪ জনের মধ্যে থেকে ২৩ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকব্রিগেডিয়া জেনারেল মঈন উদ্দিন প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে চুলা বা গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে ধারণার কথা বলেছেন। ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরেই গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।

র‍্যাব-৩ এর এএসপি কামরুল হাসান প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছিলেন, স্যামসাং শোরুমের পাশের কফি হাউস থেকে প্রথম আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা নিচ থেকে আগুন উপরের দিকে উঠতে দেখেছেন। প্রথমে দোতলায় তারপর তা পুরো ভবনে ছড়িয়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys