নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে আগামীকাল বুধবার ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এটি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে দুদিন আগে একটি ঘূর্ণিচক্রের (সাইক্লোনিক সার্কুলেশন) সৃষ্টি হয়েছে। যা প্রথমে লঘুচাপ ও পরে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ ধাপ পেরিয়ে তবেই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিবে। আজ এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর গতি-প্রকৃতি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’
এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, আজ মঙ্গলবার বিকালে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর ওই ঘূর্ণিবায়ুর চক্র বুধবার ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পেতে পারে। প্রথম দিকে উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হলেও ১২ মে ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে বাঁক নিয়ে উত্তর পূর্ব দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, নেত্রকোনা, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ এবং দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আরও দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। শনিবারের পর থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এরই মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।