হুসাইন মুহাম্মাদ: চট্টগ্রামে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ২২ রানে (ডিএলএস মেথডে) হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ১৯.২ ওভারে ২০৭ রান করে বাংলাদেশ। পরবর্তীতে বৃষ্টির কারণে ডিএলএস মেথড অনুযায়ী জয়ের জন্য ৮ ওভারে ১০৪ রানের নতুন টার্গেট আইরিশদের সামনে।
নিজেদের ইনিংসের শুরুটা ভালোই করে দুই আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিং এবং রস অ্যাডের। নাসুম আহমেদের প্রথম ওভারে ১৮ রান তোলার পাশাপাশি নিজেদের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ১৪ রান তোলে আয়ারল্যান্ড।
এরপরই শুরু হয় বাংলাদেশী বোলারদের দাপট। নিজের প্রথম ওভারে এসে ওপেনিং ব্যাটার অ্যাডেরকে ফেরান হাসান। তবে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিলো তাসকিন আহমেদের প্রথম ওভার, সেই ওভারে তিন আইরিশ ব্যাটারকে আউট করে ম্যাচ অনেকটাই নিজেদের দিকে করে নেন তিনি। এরপর দুই ব্যাটার হ্যারি টেক্টর এবং গ্যারেথ ডিলেনি কিছুটা চেষ্টা করলেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি। শেষমেশ ৮ ওভার শেষে আইরিশদের সংগ্রহ দাড়ায় আইরিশদের হয়ে টেক্টর করেন সর্বোচ্চ ১৯ রান। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ। ২ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ২৫ রান তোলে বাংলাদেশ। আর পরের ২ ওভারে আসে ২৪ রান। পাওয়ার প্লে শেষে বিনা উইকেটে ৮১ রান তোলে রনি-লিটনরা।
৭.১ ওভারে ক্রেইগ ইয়াং এর বলে পল স্টার্লিংকে সহজ ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন লিটন দাস। এর আগে ২৩ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় করে ৪৭ রান। আর সেই সাথে ভাঙে ৪৫ বলে ৯১ রানে উদ্বোধনী জুটি।
লিটন ফিরলেও থামেননি রনি। ২৪ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। রনির ফিফটির আগেই ১০০ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ। ৯ ওভার শেষে ১ উইকেটের বিনিময়ে ১০৫ রান তোলে স্বাগতিকেরা।
আজ শান্তর ব্যাট হাসেনি। হ্যারি টেক্টরের বলে হয়েছেন স্টাম্পিং। ১৩ বলে ১৪ রান করেই থামলেন নাজমুল, ১১৮ রানে বাংলাদেশ হারাল নিজেদের দ্বিতীয় উইকেট।
হিউমের বল মিস করে বোল্ড রনি তালুকদার। ৩৮ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৬৭ রানের ইনিংস এখানেই শেষ। লিটনের সঙ্গে ৯১, নাজমুলের সঙ্গে ২৭ রানের পর শামীম হোসেনের সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়ে থামলেন রনি। ১৫৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ, ১৪ ওভার শেষে।
মার্ক এডেয়ারের বলে কাভারে পল স্টার্লিংকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে শামীম হোসেন। ২০ বলে করলেন ৩০ রান, বাংলাদেশ হারাল চতুর্থ উইকেট।
হৃদয়-ও আজ ব্যর্থ। ৭ বলে ১৩ করেই ফিরলেন তিনিও। বাংলাদেশ হারালো নিজেদের পঞ্চম উইকেট। ১৯ ওভার শেষে সংগ্রহ ২০১ রান।
শেষ পর্যন্ত ১৩ বলে ২০ রান করে অপরাজিত ছিলেন সাকিব আল হাসান। মিরাজ ১ম বলে হাঁকালেন চার। আর তারপরেই শুরু হলো বৃষ্টি। ১৯.২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২০৭/৫।