নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার কয়েক হাজার গোলাবারুদ পাচ্ছে ইউক্রেন। দেশটির ‘জরুরি চাহিদা’ মেটাতে এসব গোলাবারুদ দেওয়া হচ্ছে।
প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়া-ফ্রান্স পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশ যৌথভাবে কয়েক হাজার ১৫৫ মিলিমিটার আর্টিলারি শেল তৈরি করবে। এরপর সেগুলো কিয়েভে পাঠানো হবে।
বৈঠকে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কলোনা, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং, ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু এবং তার অস্ট্রেলীয় সমকক্ষ রিচার্ড মার্লেস উপস্থিতি ছিলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৫৫ মিলিমিটার গোলাবারুদের যৌথ সরবরাহসহ ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে উভয় দেশের মন্ত্রীরা তাদের অভিপ্রায়ের কথা জানিয়েছেন। এটি ইউক্রেনকে তার জরুরি প্রয়োজনে সহায়তা করবে।
এদিকে ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর কাছে প্রথমে ট্যাংক সহায়তা চায় ইউক্রেন। ট্যাংকের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর এখন যুদ্ধবিমান চাইছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তারা ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেবে না।
সোমবার এক সাংবাদিক বাইডেনকে প্রশ্ন করেন— কিয়েভকে যুদ্ধবিমান দেওয়ার কোনো ইচ্ছা তার আছে কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, ‘না’।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় এক বছর ধরে যুদ্ধ করায় আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর শক্তি। যখন পশ্চিমারা তাদের ট্যাংক দিতে সম্মত হলো, তখন কিয়েভ ভাবল এখন তাদের যুদ্ধবিমানও দিতে পারে তারা। আর এসব যুদ্ধবিমান দিয়ে নিজেদের বিমানবাহিনীর শক্তি আগের অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র আপাতত সরাসরি এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। এর আগে জার্মানিও যুদ্ধবিমান দেবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়।