নিউজ ডেস্ক: ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ভিড় অধিকাংশ সময় লেগেই থাকে। তাদের দাবি অবৈধভাবে দীর্ঘদিন দেশটিতে থাকার পর সুযোগ এসেছে বৈধতার। কাগজপত্রও পেয়েছেন। কিন্তু পাসপোর্ট জটিলতায় আটকে যাচ্ছে সেই সুযোগ। সংশোধনের আবেদন করে কেটে গেছে বছরের পর বছর। হাতে পাননি কাঙ্ক্ষিত পাসপোর্টটি।
একই অবস্থা ফ্রান্সেও। পাসপোর্ট না পাওয়ায় অনেকেই কাজ করতে পারছেন না। বিভিন্ন কাজ করতে গিয়েও আটকে যাচ্ছেন।
২০১২ সালে জন্মনিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করেছিলেন বরিশালের সালমা বেগম। ওমান যেতে ইচ্ছুক সালমার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অফিসে এসেছেন রিনিউ করতে। কিন্তু তার দাবি তিনি কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না। ফরিদপুরের শাহীনও যাবেন বিদেশ। তার পাসপোর্টে জটিলতা নামের বানানে।
অলক দাসের মায়ের নাম মঞ্জু রাণী দাস। জাতীয় পরিচয়পত্রেও এই নাম। কিন্তু তার পাসপোর্টে এসেছে মঞ্জু রানী। বাদ পড়েছে দাস। তার দাবি পাসপোর্ট অফিসের অদক্ষতার কারণেই ভোগান্তিতে পড়েছেন তিনি। ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সঙ্গে মিল না থাকায় পাসপোর্ট পেতে বিড়ম্বনায় এমন অনেকেই।
ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বলছেন, পাসপোর্ট তৈরিতে এখন প্রধান ডকুমেন্ট জাতীয় পরিচয়পত্র। তথ্য জটিলতার কারণেই দেরি হচ্ছে পেতে।
তিনি বলেন, ‘ইউরোপে যারা আছেন তারা একটা নাম দিয়ে পাসপোর্ট করে আগে নিয়ে গেছেন, কিন্তু তার দেশের সম্পত্তি বা সবকিছু অন্য নামে। ১৮ বছর পর সবাইকে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী পাসপোর্ট করতে হবে। দেখা যাচ্ছে পরিচয়পত্র হয়েছে এক নামে, আর পাসপোর্ট করা হয়েছে অন্য নামে। এখন রিনিউ করার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী দিলে তিনি পাসপোর্ট পাচ্ছেন না। অথচ পাসপোর্ট হয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী।’ এই সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায় তাও উপায় খোঁজা হচ্ছে বলেও জানান পরিচালক।