নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নকশা ও পরামর্শের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠান পপুলাস প্রাইভেট লিমিটেডকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক সভা শেষে এমনটি জানিয়েছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন।
যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ান ভিত্তিক স্থাপত্য কোম্পানি পপুলাস বিশ্বের অনেক সেরা স্পোর্টস স্থাপনা তৈরি করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি ৪টি নামকরা ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করে। এগুলো হলো, লন্ডনের দ্য ওভাল, লর্ডস, অস্ট্রেলিয়া ক্যানবেরার মানুকা ওভাল ও সম্প্রতি তৈরি করা ভারতের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম বর্তমানে ধারণাক্ষমতার দিক থেকে সবচেয়ে বড় ক্রিকেটে ভেন্যু।
এদিকে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের বড় স্টেডিয়ামের প্রয়োজনীয়তা অনেক আগে থেকেই। অনেক দিন ধরেই পূর্বাচলে একটি অত্যাধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল সরকারের। বহুল কাক্সিক্ষত অত্যাধুনিক একটি বড় স্টেডিয়াম নির্মাণ হচ্ছে পূর্বাচলে। দেশের নতুন ক্রিকেট সদর দপ্তর হবে রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে নতুন স্টেডিয়ামটি। এই নয়নাভিরাম স্টেডিয়ামের নাম হবে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
এই স্টেডিয়াম নির্মিত হবে নৌকার আদলে। আধুনিক স্টেডিয়ামের সব সুবিধাই থাকবে এখানে। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মতোই এটি হবে বিসিবির নিজস্ব স্টেডিয়াম। এরই মধ্যে পূর্বাচলে নির্মিতব্য স্টেডিয়ামটির জন্য ৩৭.৪৯ একর জায়গা বুঝে পেয়েছে বিসিবি। এ স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজের দেখভাল করবে বিসিবিই। বিসিবির প্রধান নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, তিন বছরের মধ্যেই এ স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব। আগামী ২০২৩ সালের মধ্যেই পূর্বাচলের স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শেষ হলে নতুন স্টেডিয়াম পাবে বাংলাদেশ।
পূর্বাচলের স্টেডিয়ামে দর্শক ধারণক্ষমতা হবে কমপক্ষে ৫০ হাজার। স্টেডিয়ামের সঙ্গে একাডেমি থেকে শুরু করে ইনডোর, সুইমিংপুল, জিমনেশিয়াম যা যা প্রয়োজন সবই হবে আন্তর্জাতিক মানের। পাশাপাশি পাঁচ তারকা হোটেল থাকবে সেখানে। ক্রিকেটে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রিকেটের জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। পূর্বাচলে নতুন স্টেডিয়াম হলে আরও এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট।