জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক– গৌতম বুদ্ধের এই বাণী মাথায় রেখে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সকল বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারীদের একসাথে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ফ্রান্স বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট মেডিটেশন সেন্টার এর উদ্যোগে এক মহাসম্মেলনে এ আহবান জানান বৌদ্ধ ধর্মের আলোচকেরা।
এ উপলক্ষে রাজধানী প্যারিসের স্থানীয় একটি মিলনায়তনে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, গুণীজন সংবর্ধনা, ধর্মালোচনা, বৌদ্ধকীর্তন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের ১ম পর্বের উদ্বোধক ছিলেন, শ্রীমৎ বিজয়ানন্দ ভিক্ষু, সভাপতি ছিলেন শ্রীলংকান বৌদ্ধ মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রদ্ধেয় ভদন্তআনন্দ নায়াকা মহাথেরো এবং প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের রামু উপজেলার ঐতিহাসিক রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারেরপরিচালক কে. শ্রী জ্যোতিসেন ভিক্ষু মহোদয়। ২য় পর্বের প্রধান অতিথি ছিলেন ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউনেস্কোর স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম. তালহা এবং সভাপতি ছিলেন শ্রীমৎ প্রিয়রক্ষিত ভিক্ষু মহোদয়। বিশেষঅতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক জ্ঞানরত্ন মহাথেরো। বিশেষ জ্ঞাতী হিসাবেউপস্থিত ছিলেন কম্বোডিয়ান বৌদ্ধ মন্দিরের পরিচালক ভেনারেবল চিত্তাকারো ভিক্ষু। অনুষ্ঠানের প্রধান ধর্মদেশক হিসাবেভারতের বুদ্ধগয়া থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন মহাবোধি সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার মাননীয় ভাইস-প্রেসিডেন্ট, পন্ডিত, বিদ্যাবারিধি ডঃ বরসম্বোধি মহাথেরো মহোদয়। অন্যান্যদের মধ্য ফ্রান্সস্থ মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত অনোমদর্শীমহাথেরো, বুদ্ধগয়া ভাবনা কেন্দ্রের পরিচালক ভদন্ত কল্যানরত্ন ভিক্ষু, কুশালায়ন বৌদ্ধ বিহারের পরিচালক, সুদেশক ভদন্তজ্যোতিসার ভিক্ষু দেশনা করেন। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন অমল কান্তি বড়ুয়া। সংবর্ধিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মি. ফ্রান্সিস এবং পাতাবেন্দি কুসুমান। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সুনীল বড়ুয়া সানি, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক দেবেশ বড়ুয়া, দিপংকর বড়ুয়া, শিবু বড়ুয়া, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পরমান্দ বড়ুয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উদযাপনী পরিষদের সাধারণসম্পাদক উন্নয়ন বড়ুয়া এবং প্রচার ও সাহিত্য সম্পাদক সেবক বড়ুয়া।
সবশেষে প্যারিসের স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।