প্রবাসে স্থায়ী হলেও মন প্রাণ পড়ে থাকে দেশের সেই সোনার মাটিতে। সিলেটের ভয়াবহ করুণ অবস্থা দেখে স্থীর থাকা ভীষণ কঠিন। বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ থাবা পড়েছে আমার আত্মার মানুষদের উপর। এসময় সরাসরি কাছে গিয়ে তাদের জন্য কিছু করতে না পারার বেদনা যেন কুরে কুরে খাচ্ছে। ভাসিয়ে নেওয়া উত্তাল জীবন নিমিষেই তলিয়ে যাচ্ছে। হাজারাে মানুষ দিনকে দিন নিখোঁজ হচ্ছে। তাই যার যতটুকু সামর্থ্য সেখান থেকেই যতটুকু সম্ভব সাহায্য করা জরুরী এবং দায়িত্ব দেশের নাগরিক হিসেবে।
মানবিক দৃষ্টি বিবেচনায় এসব দৃশ্য চোখে দেখা আসলেই দুরহ। তাই আমরা সিলেটের মানুষের পাশে দাঁড়াই। নিজের বিবেককে জাগ্রত করে একটু না হয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। ক্ষতি কী তাতে? দুর থেকে হলেও যথাযথ উপায়ে আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহস-শক্তির সামিল হই।
বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে বন্যাক্রান্ত উপজেলাগুলোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে৷ হয় পানি সাঁতরে, নয়তো নৌকায় চেপে আশ্রয়স্থলে ছুটছেন মানুষ৷ অনেকে কলা গাছের ভেলায় চেপেও নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন৷
সুনামগঞ্জে একতলা কোনো বাড়িতে পানি উঠতে বাকি নেই, বন্ধ রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ, সুরমা উপচানো বন্যা চরম দুর্বিপাকে ফেলেছে সুনামগঞ্জ শহরের বাসিন্দাদের৷ স্থানীয়রা বলছেন, ৫০ ৬০ বছরের জীবনে সুনামগঞ্জ শহরে এমন ভয়াবহ বন্যা হয়নি৷ শহরের সব এলাকা প্লাবিত৷ মানুষ আশ্রয় নিতে পারছে না৷