নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্ব অর্থাৎ চূড়ান্ত পর্বের ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ফল থেকেই জানা যাবে দুই প্রার্থী অর্থাৎ ইমানুয়েল ম্যাক্রন নাকি মেরিন লা পেনকে বেছে নিয়েছে ফ্রান্সের জনগণ। যদি ম্যাক্রন জয়ী হন তা হলে তা হবে গত ২০ বছরের মধ্যে প্রথম দ্বিতীয় মেয়াদে কোনো প্রেসিডেন্টের জয়। তবে এই দুই প্রার্থীরই ভাগ্য অনেকখানি নির্ভর করছে ‘সিদ্ধান্তহীন’ ভোটাররা কাকে বেছে নেন তার ওপর। খবর বিবিসি।
দুই প্রার্থীকে একে অপরকে তিক্ত আক্রমণের মধ্য দিয়ে প্রচার শেষ করেন। লা পেন অভিযোগ করেন, তিনি (ম্যাক্রন) উগ্রবাদীদের মতো পুরনো কায়দায় অপমান করেছেন। অন্যদিকে ম্যাক্রন বলেন, লা পেন যে পন্থা অবলম্বন করেছে তাতে এই দেশের ভবিষ্যৎ ঘৃণাবাদ বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে। এ পর্যন্ত জনমত জরিপগুলোতে দেখা যাচ্ছে- ম্যাক্রন দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার দিকে অল্প কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন। তবে দক্ষিণপন্থি লা পেনের দল কখনই ক্ষমতার এতটা কাছাকাছি ছিল না বলে তাদের দাপট কিছুই খাটো করে দেখার উপায় নেই। এই নির্বাচনের অন্যতম ইস্যু ছিল দেশের জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন- জ্বালানি মূল্য, খাদ্যমূল্যের চাপে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। লা পেন তার গোটা প্রচারে এই বিষয়টিই তুলে ধরেছেন। তার প্রচারের মূল ভাষ্য হয়ে দাঁড়ায় ‘ম্যাক্রন নাকি ফ্রান্স’। অর্থাৎ ভোটারদের কাছে তিনি এই বার্তা দিয়েছেন যে, ফ্রান্সকে বাঁচাতে হলে ম্যাক্রনকে ভোট দেওয়া যাবে না।
অন্যদিকে ম্যাক্রন ভোটারদের বলছেন, এই নির্বাচনকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ইউরোপ নিয়ে যে ধারণা রয়েছে তার গণভোট হিসেবে দেখতে হবে। কিন্তু লা পেন যে যুক্তি তুলে ধরছেন, তার ফল হবে ইইউ ধারণা লুপ্ত হওয়া।
‘আমি না ভোট দেব’
দুই প্রার্থীর জন্যই ‘খালি ভোট’ বা না ভোট বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটির ভোটারদের মধ্যে একটি বড় অংশ না ভোট দেবেন অথবা ভোটই দেবেন না। জরিপ বলছে, বিষয়টি এতটাই উদ্বেগের হয়ে দাঁড়িয়েছে যে ধারণা করা হচ্ছে, ১৯৬৯ সালের পর এই সবচেয়ে কম ভোট পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইদ্রিসি নামের এক ভোটার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমি খালি ভোট (ব্ল্যাংক ভোট) দিতে যাচ্ছি। কেননা ভোট দেওয়া আমার জাতীয় দায়িত্ব কিন্তু এখন পর্যন্ত চলমান ব্যবস্থায় আমি মোটেও সন্তুষ্ট নই। প্রথম পর্বে ম্যাক্রন পেয়েছেন ২৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ, লা পেন ২৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। প্রথম পর্বে কোনো প্রার্থী চূড়ান্ত জয় না পাওয়ায় ভোট গড়িয়েছে দ্বিতীয় পর্বে।