নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাংকেতিক চিঠিটিকে ভুয়া বলেছিলেন শাহবাজ শরিফ। এমনকি এটাও বলেছিলেন, চিঠিটি যদি সত্যি হয়, তাহলে তিনি এসে আমার সঙ্গে যোগ দেবেন।’ গতকাল শনিবার তার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
শাহবাজের উদ্দেশে ইমরান বলেন, ‘আল্লাহর দোহাই লাগে, আমার কাছে আসবেন না। এ রকম একজন চোরকে আমার সঙ্গে নিতে পারি না। চিঠিটিকে ভুয়া বলার জন্য আপনার অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইমরান খান প্রথম তার বানি গালার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় আমি যে ধরনের হুমকি পেয়েছি, সে ধরনের হুমকি নিউজিল্যান্ডের মতো একটি ছোট দেশের প্রধানমন্ত্রীও পান না। আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফও হুমকি পেয়েছিলেন। কিন্তু আমি যে ধরনের হুমকি পেয়েছি, তা দেশের জন্য লজ্জাজনক।’
পাকিস্তানের সংসদে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান। তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের পর থেকে তিনি বলে আসছিলেন যে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্র ষড়যন্ত্র করছে। গত বৃহস্পতিবার ইমরানের উত্থাপিত মার্কিন ষড়যন্ত্রতত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি)।
এর একদিন পর ইমরান খান সংবাদ সম্মেলন করে বললেন, ‘আমার ক্ষমতাচ্যুতির পেছনে যে মার্কিন ষড়যন্ত্র ছিল, তা প্রমাণিত হয়েছে। এনএসসির (জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি) বিবৃতিই প্রমাণ করে যে ষড়যন্ত্র ছিল।’
ইমরান আরও বলেন, ‘ডোনাল্ড লু যে ভাষা ব্যবহার করেছিলেন, তা ছিল খুবই অংহকারী। জো বাইডেনের এই কর্মকর্তা আমাদের রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন যে ইমরান খানকে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে অপসারণ করতে হবে। আপনারা দেখেছেন, ঘটনা শেষ পর্যন্ত তা-ই ঘটেছে।’
ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের মন্ত্রিসভায় এখন ক্রিমিনালদের সংখ্যা অভূতপূর্ব। এমন মানুষদের হাতে দেশ তুলে দেওয়ার চেয়ে বড় ষড়যন্ত্র আর কী হতে পারে?