নিউজ ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জে সেহরি খেতে নানির সঙ্গে নিজ বাসায় যাওয়ার পথে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কিশোরী (১৩)। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২০ এপ্রিল) সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) কাজী মাসুদ রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, বুধবার (১৩ এপ্রিল) ফতুল্লার দেওভোগ মাদরাসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি পশ্চিম দেওভোগ পশ্চিম নগরের শেষ মাথার হাকিম ভিলার ভাড়াটিয়া সুরুজ মিয়ার ছেলে মো. রিফাত (২০)।
মামলার তথ্যমতে, ভুক্তভোগী কিশোরীকে নিয়ে তার মা দেওভোগ এলাকায় বসবাস করেন। কিশোরীর নানি মামা-মামির সঙ্গে পার্শ্ববর্তী আদর্শনগরে ভাড়া বাসায় থাকেন। গত বুধবার কিশোরী ইফতারের পূর্বে তার নানির বাড়িতে যায়। পরে একই দিন ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে নানিকে নিয়ে সেহরি খাওয়ার জন্য নিজ বাসার দিকে রওনা দেয়। বাসার গেট থেকে বের হওয়া মাত্র রিফাত, আশরাফ আলীর ছেলে মিনু রাসেল (৪০) ও সিফাত (২২) জোরপূর্বক কিশোরীকে মুখ চেপে ধরে অজ্ঞাতনামা স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় কিশোরীর নানি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে, তাকেও মারধর করা হয়।
এদিকে প্রায় ৪ দিন পর রোববার (১৭ এপ্রিল) রাত ৭টার দিকে স্থানীয়রা রিফাতকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে সবকিছু স্বীকার করে। এরপর পুলিশে সংবাদ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার করে রিফাতকে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় মিনু রাসেল ও সিফাত।
ভুক্তভোগী কিশোরী জানান, তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার পর সিফাতের সহায়তায় মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ভোরে মিনু রাসেল, তাকে পরপর দুবার ধর্ষণ করার পর ঘরের ভেতর আটকে রাখে। একই দিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রিফাত তাকে ধর্ষণ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) কাজী মাসুদ রানা জানান, এ সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধারসহ এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।