1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ অপরাহ্ন

ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন : পুনরাবৃত্তি না প্রথম

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২২

নিউজ ডেস্ক: ফরাসি ভোটাররা ব্যালটে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য প্রস্তুত। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম পর্বে অবশ্য দেশটির ইতিহাসে অন্যতম কম ভোট পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, এই ভোটের ঠিক আগে আগে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের জনপ্রিয়তা কমে গেছে এবং তার প্রধানতম প্রতিদ্বন্দ্বী মেরিন লা পেন বেশ খানিকটা এগিয়ে গেছেন।

বিবিসি বলছে, যদিও ইউক্রেন যুদ্ধের ছায়ায় এ নির্বাচনের উত্তাপ তেমন একটা আঁচ করা যাচ্ছে না, তবে অনেক ভোটারের কাছে নির্ণায়ক হলো দৈনন্দিন জীবনের খরচ।

নির্বাচনে ম্যাক্রন ও লা পেন মূল দুই প্রার্থী। তবে আরও ১০ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে লড়ছেন। প্রথম পর্বে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পর্বের লড়াই হবে ২৪ এপ্রিল।

বিবিসি বলছে, এক মাস আগেও ম্যাক্রনের থেকে ১০ পয়েন্ট পিছিয়ে ছিলেন লা পেন। তবে প্রথম পর্বে তিনি ম্যাক্রনের ধারেকাছে পৌঁছে যাবেন। আর তিনি যদি সত্যিই দ্বিতীয় পর্বের ভোটে উঠে যেতে পারেন, তা হলে চূড়ান্ত বিজয়ের স্বাদ তিনিও পেতে পারেন।

লা পেন নির্বাচিত হলে, তিনি ফ্রান্সের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নাম লেখাবেন। এর আগে ২০০২ সালে বামপন্থি নেতাকে সরিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন লা পেনের বাবা জঁ-মেরি লা পেন। তবে এ বিশ বছরে কোনো নেতাই দ্বিতীয় মেয়াদে ফ্রান্স শাসন করার জন্য জয় পাননি। ম্যাক্রন জয় পেলে তিনি হবেন দুই দশকের প্রথম পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।

বিবিসি বলছে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর ম্যাক্রনের সক্রিয়তা ও দৌড়ঝাঁপ তার জনপ্রিয়তাকে বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে ভোটাররা বাড়ি ভাড়া, ব্যবহার্য বিল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বেশি সতর্ক হচ্ছেন, এবং এ কারণে ম্যাক্রনের চেয়ে অনেকের কাছে লা পেনের প্রতিশ্রুতিই বেশি বিশ্বাসযোগ্য বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

প্যারিস থেকে বিবিসির সংবাদদাতা পল কিরবি জানিয়েছেন, শনিবার পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশ ভোটার কাকে ভোট দেবেন, সে সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন। তিনি অনেকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন, অনেকেই এখনো ঠিক করতে পারেনি কাউকে আদৌ ভোট দিতে যাবেন কিনা।

নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৭ সালের চেয়েও কম সংখ্যক ভোটার ভোট দিতে যাবেন। সেবার প্রতি একশ জনে মাত্র ২২ জন ভোট দিয়েছিলেন।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আবার জয়ের আশায় ম্যাক্রন আরও কর কমানো অঙ্গীকার দিয়েছেন, অবসরের বয়স বাড়িয়ে ৬৫ বছর করেছেন এবং, প্রতি ঘরেই চাকরির নিশ্চয়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। লা পেন জীবিকা-নির্বাহ ও খরচের সংকট নিয়ে আলোকপাত করেছেন, যদিও তার অভিবাসনবিরোধী অবস্থান মুসলিম অভিবাসীদের জন্য অভিশাপ হয়ে দেখা দেবে।

ভায়ভাভয়েস জরিপ সংস্থার প্রধান ফ্রাসোঁয়া মিকুয়েট-মার্টি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘নির্বাচনী প্রচারে সত্যি বলতে নতুন কিছু ছিল না বলে মনে করেন ৭৫ ভাগ ফরাসি মানুষ। শতকরা ৭৬ ভাগ মানুষই বলেছেন, তারা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।’

দি ইকোনমিস্টের প্যারিস প্রধান সোফি পেদ্দার অবশ্য টুইটারে মন্তব্য করেছেন, ‘ম্যাক্রন এখনো ফ্রান্সের জন্য অপ্রতিদ্বন্দ্বী বিকল্প।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys