নিউজ ডেস্ক: রাজধানীতে যানজট কমাতে গাড়ির নম্বর প্লেটের ভিত্তিতে জোড় তারিখে জোড় নম্বরের এবং বিজোড় তারিখে বিজোড় নম্বরের গাড়ি চালানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
শনিবার রাজধানীর উত্তরায় বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, গাড়ির নম্বর প্লেট জোড় না বিজোড় সেটির ভিত্তিতে গাড়ি বের করবেন মালিকরা।
রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সিটি করপোরেশনের হাতে দিলে যানবাহনের নিবন্ধন নম্বরের ক্রমিক অনুযায়ী চলাচলের পদ্ধতি চালু করার কথা বলেন তিনি।
দিল্লিতে দূষণ কমাতে ২০১৭ সালে জোড়-বিজোড় পদ্ধতিতে গাড়ি চালানোর পদ্ধতি চালু করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের চালু এ নিয়মের সুফলও ওই সময় পাওয়ার খবর বেরিয়েছিল গণমাধ্যমে।
আরও কিছু দেশে এ পদ্ধতি মেনে ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় নামানো, এলাকাভেদে নির্দিষ্ট দিনে গাড়ি চালানো এবং ব্যক্তিগত গাড়ি শেয়ারিংয়ের নিয়ম চালু রয়েছে।
শনিবার মেয়র আতিক বলেন, “নম্বর প্লেটে যাদের জোড় সংখ্যা রয়েছে এমন গাড়ির চলবে জোড় তারিখের দিনে। বিজোড় দিনে বিজোড় সংখ্যার গাড়ি। এভাবে চললে রাজধানীতে যানজট কম হবে।”
যানজট সামলাতে ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্ব চান মেয়র আতিক
এখন কেন যানজটে থেমে যাচ্ছে ঢাকার সড়ক
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সিটি করপোরেশনের কর্তৃত্ব চেয়েছিলেন তিনি।
সেদিন তিনি বলেন, “রাস্তা আমার, কতগুলো গাড়ি চলবে সেই ক্ষমতা আমার নাই। তা হলে কীভাবে হবে? রাস্তা আমার আন্ডারে, ট্রাফিক পুলিশ আমার আন্ডারে না, তাহলে তো হবে না।”
শনিবার মেয়র আতিক বলেন, “রাজধানীর কোন রাস্তায় কী পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে, কোন কোন রাস্তায় বেশি যানজট এসব বিষয়ে গবেষণা করে কার্যকর ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”
উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র সরণির শেষ প্রান্তের বটমূলে উদ্বোধন করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চ’।
মুক্তমঞ্চ সম্পর্কে মেয়র বলেন, শিশু-কিশোরদের জন্য সুস্থ, সুন্দর ও বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করা নগর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।
“উত্তরা এলাকার শিশু-কিশোরদের মুক্ত চলাচল, আড্ডা, গল্প, গান বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য এ মুক্ত মঞ্চটির প্রয়োজন অনুধাবন করেই ডিএনসিসি এটি নির্মাণ করেছে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গাজীপুর -৫ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি এমপি।
বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চ নির্মাণের জন্য ডিএনসিসি মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে চুমকি বলেন, “বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চ উত্তরা এলাকার শিশু-কিশোরদের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। আমি চাই মুক্তমঞ্চটি ভবিষ্যতে আরও প্রসারিত হবে।”
এসময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, ডিএনসিসির স্থানীয় কাউন্সিলর, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।