নিউজ ডেস্ক: সিমান্তে গুলি করে হত্যা করা ৩ জনের মধ্যে যে ২ জনের মরদেহ এখনও ফেরত দেয়নি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার রাতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গুলি করে ৩ জনকে হত্যার প্রতিবাদ জানানো হয়। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বিএসএফ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, সন্দ্বীপ ও কামালের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশকে দেয়া হয়েছে। তারা অন্যান্য আইনানুগ কার্যক্রম শেষে বিএসএফকে মরদেহ দিলে, তারা তা বিজিবিকে হস্তান্তর করবে।
তবে, তা আজই ফেরত দেয়া হবে নাকি আরও দেরি হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি বিএসএফ।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে নওগাঁ সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। নিহতরা হলেন- পোরশা উপজেলার বিষ্ণপুর বিজলীপাড়ার শুকরার ছেলে রণজিৎ কুমার (২৫), দীঘিপাড়া গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩৫) এবং কাঁটাপুকুরের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন (৩২)।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে বেশ কয়েক যুবক ভারতের অভ্যন্তরে গরু নিতে প্রবেশ করেন। তারা গরু নিয়ে বাংলাদেশে ফেরার পথে ভোরে পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল সীমান্ত এলাকার ২৩১/১০(এস) মেইন পিলারের নীলমারী বিল এলাকায় ভারতের ক্যাদারিপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ জওয়ানরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
এ সময় অন্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও গুলিতে ৩ বাংলাদেশি যুবক নিহত হন। গরু ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের ২০০ গজ অভ্যন্তরে তার লাশ পড়েছিল। আর গরু ব্যবসায়ী রণজিৎ কুমার ও কামাল হোসেনের লাশ ভারতের ৮০০ গজ অভ্যন্তরে পড়েছিল।