নিউজ ডেস্ক: কমলাপুর স্টেশনে মেইল ও কমিউটার ট্রেন কাউন্টারে উপচেপড়া ভিড় ছিল। অন্যদিকে আন্তঃনগর ট্রেনের সব কয়টি কাউন্টার বন্ধ ছিল। এসব ট্রেনের টিকিট শতভাগ অনলাইনে কাটতে হচ্ছে।
১৪ থেকে ১৮ জুলাই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে মোট ১ লাখ ১০ হাজার ৬৫০টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। বোরবার সবশেষ টিকিট বিক্রি হয় ২২ জুলাইয়ের। এ দিন সাধারণ যাত্রী ২২ জুলাইয়ের ফিরতি টিকিট কেটেছেন।
রোববার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কমিউটার ও মেইল ট্রেনের কাউন্টারে টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়। বরাবরের মতোই কাউন্টার, প্লাটফর্ম, ট্রেনের ভেতর স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি অনেককে।
স্টেশনে মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া না হলেও স্টেশন ও ট্রেনে প্রবেশ করার পর অনেকে মাস্ক খুলে ফেলছেন। ট্রেনে এক সিট ফাঁকা রাখার নিয়ম থাকলেও পাশাপাশি অনেককে বসে থাকতে দেখা গেছে।
ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শওকত জামান মোহসী জানান, গত ৫ দিনে মোট ১ লাখ সাড়ে ১০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন প্রায় ৫৭ হাজার টিকিট বিক্রি হতো। স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বললেও অনেক যাত্রী স্টেশন ও ট্রেনে উঠে মাস্ক খুলে রাখছেন।
তিনি বলেন, ২৩ জুলাই থেকে আবারো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ায় ঈদযাত্রায় এবার ট্রেনের ফিরতি টিকিট রোববার দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনও সব ট্রেন সিডিউল অনুয়ায়ী চলাচল করেছে। বিনা টিকিটে কাউকেই স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে তিনি বলেন, যাত্রীরা যদি নিজের ভালো মন্দ না বুঝেন, সেটি দুঃখজনক।
এদিকে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী জানান, রোববার পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনে মোট ১ হাজার গরু-ছাগল ঢাকায় আনা হয়েছে। গরু ৫০০ টাকা এবং ছাগল মাত্র ৯২ টাকায় পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চল থেকে এসব পশু ট্রেনে করে ঢাকায় আনা হয়।