বিজয় দে :
করোনাকালের শুরু থেকে গত বছর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তখন থেকেই শিশুরা ঘরবন্দি রয়েছে এবং গত বছরের ঈদ ও করোনা মহামারির জন্য সেভাবে করতে পারেনি শিশুরা। তাই দিনটা খুব কষ্টে কেটেছিল শিশুদের।
শিশুরা ঈদের অপেক্ষা করে শপিং করা এবং মা, বাবা,আত্মীয় স্বজন, বন্ধুের সাথে ঘোরে কিন্তু সেটা পারিনি গত বছর।তাই সময়টা খুব খারাপ কেটেছিল শিশুদের৷। ঈদের দিন হয়ত অনেক শিশুদের ঘরবন্দি থাকতে হয়েছিল। আবার অনেক শিশু হয়ত গত বছর নতুন জামা কাপড় ও কিনতে পারিনি করোনার প্রকোপ বেশি থাকায়। শিশুদের ঈদ আনন্দ নষ্ট করে দিয়ে ছিল। করোনা মহামারি।
গত বছরেরে মত এ বছর ও তাই হবে হয়ত কারন করোনার প্রকোপ এখনো কমেনি তাই অনেক শিশু ঘরবন্দি রয়েছে।আবার লকডাউন ও রয়েছে তাই অনেকে বাসা থেকে বের হতে পারছে না। এবার ও হয়ত শিশুদের বাইরে বের হওয়া হবে না করোনা মহামারির জন্য । তাই অনেক শিশু ঈদের নতুন পোশাক কিনতে পারেনি।
অনেক শিশু হয়ত ঘরে বসেই তাদের পরিবারের সাথে ঈদ কাটাবে করোনাকালে। শিশুরা সবসময় চাই একটু আনন্দ করতে করোনার কারনে এই দু বছর তা হচ্ছে না। তাই সময় টা বেশ খারাপ কাটবে।
এব্যপারে বাগেরহাট বহুমুখী কলেজিয়েট স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র জুবায়ের ইসলাম বলেন আগে ঈদের সময় সকালে দাদুর সাথে ঈদগাহে নামাজ পড়তে যেতাম ৷ তারপর বাবা-মায়ের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতাম, আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দেখা হত, কিন্তু এবছর করোনা ভাইরাসের জন্য বাইরে কোথাও যেতে পারবো না তাই বাসায় বাবা-মায়ের সঙ্গে কাটাতে হবে৷ এজন্য কিছুটা মন খারাপ৷ কিন্তু তবুও আমাদের করোনার হাত থেকে বাচার জন্য এটা মেনে নিতে হবে ৷ কারণ আমরা যদি বাইরে বের হই তাহলে করোনা সংক্রমণ এর ঝুঁকিতে পড়তে পারি৷ তাই চিন্তা করেছি বাসায় বসে বাবা-মা দাদা-দাদীর সাথে ঈদে অনেক মজা করব ৷