1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৮ অপরাহ্ন

কোন ফোনালাপে প্রমাণ হলো ঝর্ণা স্ত্রী নন?

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : শনিবার, ১ মে, ২০২১

নিউজ ডেস্ক: প্রশ্ন করতে মনে চায়, এত এত ফোনালাপ যে আপনারা ফাঁস করলেন, কোনো একটি ফোনালাপ থেকে আপনারা কি এটা প্রমাণ করতে পেরেছেন জান্নাত আরা ঝর্ণা অন্যের বিবাহিতা স্ত্রী? অথবা এ কথা কি আপনারা প্রমাণ করতে পেরেছেন সে আমার বিবাহিতা স্ত্রী নন?

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক দাবি করেছেন, তার এবং স্বজনদের যে ফোনালাপ প্রকাশ হয়েছে, তাতেই প্রমাণ হয়েছে জান্নাত আরা ঝর্ণা তার স্ত্রী।

অবশ্য ফোনালাপের এই রেকর্ডগুলো সামাজিক মাধ্যমে আসার নিন্দাও জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, এতে তার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে। আর এর বিরুদ্ধে তিনি আইনি পদক্ষেপও নেবেন।

গত শনিবার নারায়ণগঞ্জের রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ অবরুদ্ধ হয়ে সঙ্গীনিতে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন মামুনুল। যদিও পরে নানা ঘটনায় এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।

ওই রাতেই একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। এটা প্রতীয়মান হয় যে সেটি মামুনুল ও তার চার সন্তানের জননী স্ত্রীর মধ্যে ছিল সেটি।

সেখানে তিনি বলেন, সেই নারী তার পরিচিত শহীদুল ইসলামের স্ত্রী। ঘটনার কারণে চাপে পড়ে তাকে স্ত্রী পরিচয় দিতে বাধ্য হয়েছেন।

পরে আরেকটি কথোপকথন ফাঁস হয়, যা মামুনুলের সঙ্গে তার রিসোর্টের সঙ্গীনির মধ্যকার বলে প্রতীয়মান হয়। সেখানে সেই নারী জানান, তিনি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার মায়ের একটি বন্ধ মোবাইল নম্বর দিয়েছেন। আর অন্য একজন যখন তাকে কোথায় বিয়ে হয়েছে জিজ্ঞেস করেছে, তখন তিনি বলেছেন, এটা জানেন না। মামুনুলের সঙ্গে কথা বলে নেবেন।

আরও একটি কথোপকথনে বোঝা যায় মামুনুলের বোন কথা বলেছেন হেফাজত নেতার চার সন্তানের জননী স্ত্রীর সঙ্গে। তিনি তাকে বুঝিয়েছেন, কেউ যদি তাকে ফোন করে, তাহলে তিনি যেন বলেন, তিনি বিয়ের অনুমতি দিয়েছেন এবং তার শাশুড়ি এই বিয়ের আয়োজন করেছেন।

তবে বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে এসে দাবি করেন, ফাঁস হওয়া ফোনালাপেই প্রমাণ হয়েছে, ঝর্ণার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এখানে বলতেই হয়, প্রশ্ন করতে মনে চায়, এত এত ফোনালাপ যে আপনারা ফাঁস করলেন, কোনো একটি ফোনালাপ থেকে আপনারা কি এটা প্রমাণ করতে পেরেছেন জান্নাত আরা ঝর্ণা অন্যের বিবাহিতা স্ত্রী? অথবা এ কথা কি আপনারা প্রমাণ করতে পেরেছেন সে আমার বিবাহিতা স্ত্রী নন?

‘বরং যতগুলো তথ্য আপনারা ঘাঁটাঘাঁটি করেছেন, তার মধ্যে এ কথাই দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট প্রমাণ হয়েছে যে জান্নাত আরা ঝর্ণা আমার বিবাহিতা স্ত্রী।’

গোপনীয়তার অধিকার লংঘন হয়েছে

হেফাজত নেতা ফেসবুক লাইভে এও বলেন যে, এসব ফোনালাপ ফাঁস করাটি উচিত হয়নি কোনোভাবেই।

তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রীদের সাথে আমি কখন কী কথা বলব, কখন কোন ভাষায় কথা বলব, কাকে কখন কীভাবে প্রবোধ দেব, সেটা আমার ধর্মীয় ও নাগরিক অধিকার। সেখানে অন্য কাউকে নাক গলানোর সুযোগ ধর্ম এবং সমাজ অথবা আইন আদালত তো দেয়নি।

‘আমার স্ত্রীর সাথে আমার ফোনালাপ, আমার স্ত্রীদের সাথে আমার কথোপকথন, এগুলো একান্তই আবার ব্যক্তিগত বিষয় এবং আমার পারিবারিক বিষয়। অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে আমার যে ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।’

যারা এই ফোনালাপগুলো ফাঁস করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকিও দেন মামুনুল। বলেন, ‘শুধু আমি নই, আমার পরিবার ও পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক কথোপকথনের কল রেকর্ড ফাঁস করে দিয়ে পরিবার জীবনে যে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা এবং যে ষড়যন্ত্র তারা করেছে, ইনশাল্লাহ তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে। এবং তাদের সকলেই আইনের কাছে সোপর্দ হবে। পাশাপাশি তারা এর জন্য চরম খেসারত দিতে বাধ্য থাকবে।’

‘ইসলামি শরিয়তের বিধান লঙ্ঘন করার জন্য আল্লাহর আদালতে আমি বিচার দায়ের করব এবং প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করে আমার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করার অপরাধে যারা দুষ্ট, আমি তাদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ আমি অবলম্বন করব।’

ব্যক্তিগত আইন পরামর্শদাতাদের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে পরামর্শ শুরু করেছেন বলেও জানান মামুনুল।

যারা এসব ফোনালাপ শেয়ার করেছেন, তাদেরকে এখনই সেগুলো বন্ধ করা এবং অতীতের ‘কৃত অপরাধগুলোর জন্য’ নিঃশর্তভাবে তার ও জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও করেন মামুনুল।

এই ফোনালাপ ফাঁসে মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে দাবি করে এ বিষয়ে দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্ায়ের মানবাধিকার কর্মীদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন হেফাজত নেতা।

‘এই খেলা কোথায় গড়াবে চিন্তা করেছেন?’

মামুনুল বলেন, আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই এই যে চরিত্র হননের যে অসভ্য খেলা শুরু হয়েছে। এবং এই অসভ্য খেলা যদি চলতে থাকে তাহলে কোথাকার পানি কোথায় পর্যন্ত গড়বে তা কি আপনারা চিন্তা করছেন?

‘এই সকল ব্যক্তিগত আলাপচারিতাগুলো নিয়ে যদি সমাজে প্রকাশ্যে আলাপচারিতা চলতে থাকে, তাহলে অনেকের মানসম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হবে। এদেশ বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়বে।

‘কাজেই সকলের প্রতি আহ্বান থাকবে, কাঁচের ঘরে থেকে অন্যকে ঢিল ছুড়বার মতো বিপজ্জনক কোনো প্রক্রিয়া অবলম্বন করবেন না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys