নিজস্ব প্রতিবেদক: নারীর অগ্রযাত্রায় আছে বিশাল চ্যালেঞ্জ। সবচেয়ে বড় সমস্যা নিরাপত্তাহীনতা। অনেক জায়গায়ই এখনো নারীর কাজের মতো উপযুক্ত পরিবেশ নেই। অর্থনীতিতে নারীর অবদানের স্বীকৃতিও মিলছে না। তবে অর্থনীতিতে নারীর ক্ষমতায়ন সবচেয়ে জরুরী। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলা সংগঠন ‘উইমেন্স এম্পাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন’ এবার নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজন করেছে সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভার অনুষ্ঠান।
পূর্বাচল ক্লাবে বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে উইমেন্স এম্পাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন এর উদ্যোগে দিনব্যাপী বিশ্ব নারী দিবস ২০২১ উপলক্ষে একটি আলোচনা সভা, সম্মাননা পুরষ্কার বিতরন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ’ডাব্লিউইও’ ।
১৩ই মার্চ (শনিবার) ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় পাট মন্ত্রী জনাব গোলাম দস্তগীর গাজী, বীর প্রতীক এমপি। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নের ফলে নারী উন্নয়ন আজ সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, কূটনীতি, সশস্ত্রবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শান্তিরক্ষা মিশনসহ সর্বক্ষেত্রে নারীর সফল অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশ ক্রমান্বয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে নারীর অধিকার নারীকেই অর্জন করে নিতে হবে।’
ডব্লিউইও’র প্রেসিডেন্ট নাজমা মাসুদ বলেন, এবার নারী দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘করোনাকালে নারী নেতৃত্ব গড়বে সমতার বিশ্ব।’ নারী নেতৃত্ব এখন সব সেক্টরেই। সমযোগ্যতায় নারী তাদের অবস্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। চ্যালেঞ্জিং পেশায়ও নারীরা আজ সফলতার তুঙ্গে । আমরা যেখানে নারীকে দেখে অভ্যস্ত নই, সেখানেও তারা এগিয়ে এসেছেন, হিমালয় জয় করেছেন। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনেও তারা অংশ নিচ্ছেন। আমরা তারই কিছু উদাহরণ রেখে যেতে চায়, আমাদের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। পুরষ্কারের হিসেব করলে, প্রতি সেকেন্ডের জন্যও যদি নারীকে পুরষ্কার দিতে হয় তাও কম হবে বলে আমার মনে হয়। জগত সংসারে হিসেব নিকেশের বেড়াজালে নারী চলে না। চলে তার দায়িত্ববোধ থেকে। আমরা আজ কয়েকজন অনুপ্রেরণাদায়ক নারীকে সম্মাননা দিতে চায়। যাদের জীবন থেকে আরও নারীরা উঠে আসার সাহস পাবেন।’
অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিলো সমাজে বিভিন্ন কাজে অবদান রাখার জন্য ৩৩ জন সফল নারী উদ্যোক্তাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান। এছাড়াও ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ’ডাব্লিউইও’ এর সদস্যদের উৎপাদিত দেশীয় পণ্য নিয়ে ফ্যাশন শো এর আয়োজন।