নিউজ ডেস্ক: সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে বিএম কনটেইনার ডিপোর বিস্ফোরণে আশপাশের পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় জানালার কাঁচ, ঘরের দরজা, সিলিং ফ্যান, টিভি-ফ্রিজ নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে নানামুখী সংকটের মধ্যে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ।
ডিপোর আশপাশের সোনাইছড়ি, অলিনগর, মোল্লাপাড়া, কেশবপুর, তেতুলতলা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা ও বসতঘরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কেবল পাকা ঘরের দরজা বা কাঁচের জানালা নয়, টিনের ঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অধিকাংশ পাকা ঘরের জানালা এবং দরজা উড়ে গেছে। ভেঙেছে টিনের বা বেড়ার ঘরও৷
এ ছাড়া ডিপোর উত্তর পাশে অলিনগর আবদুল জলিল জামে মসজিদের অন্তত ছয়টি জানালা ও তিনটি দরজার কাঁচ ভেঙে গেছে। পাশাপাশি থাই অ্যালুমিনিয়ামের কাঠামো ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি দেখতে হাজার হাজার মানুষ দলে দলে সেখানে যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিস্ফোরণের পর থেকে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। ফলে টিভি-ফ্রিজসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক সামগ্রী ক্ষতির বিষয়ে সবাই পুরোপুরি অবগত হতে পারেননি তারা। অলিনগর এলাকার সত্তরোর্ধ মো. ফজলুল কাদের দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, বিস্ফোরণে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। বিকট শব্দের পর পরই ঘরের দরজা জানালা ভেঙ্গে পড়ার শব্দ শুনতে পাই৷ এ সময় ঘরের নারী ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ক্যামিকেল বিস্ফোরণের বিষয়টি জানার পর প্রায় প্রতিটি ঘরের নারী শিশুরা ঘর থেকে বেরিয়ে আত্মীয় স্বজনদের বাসায় চলে যায়। কেউ কেউ রাতে ফিরলেও বেশিরভাগ মানুষ আজ রোববার সকালে ঘরে ফিরে আসে।
তিনি বলেন, বিস্ফোরিত কনটেইনারের লোহার একটি টুকরো উড়ে গিয়ে পাশের বাড়িতে পড়ে। এতে বাপ্পি নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। বাপ্পি বিএম ডিপো সংলগ্ন মনিরুজ্জামান মিস্ত্রি বাড়ির বাসিন্দা। তার মাথায় ১৪টি সেলাই হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাচাত ভাই মো রবিউল হোসেন শাহেদ।