নিউজ ডেস্ক: গত ৩১ শে অগাস্ট ২০২০ , সোমবার রাজধানীর বনানী ডি ও এইচ এস-এ সারাদিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল স্মৃতিকথন অনলাইন গ্রুপের মিলনমেলা । এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্মৃতিকথন গ্রুপ সাংগঠনিকভাবে আত্মপ্রকাশ করলো । উক্ত অনুষ্ঠানে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা পথিক মুসাফিরের ৪৫ তম জন্মদিন উৎযাপন করা হয় । সংঠনের উপদেষ্ঠা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক সৈয়দ আশরাফ মহি-উদ্-দ্বীন , জনাব এ কে এম তারেক , ডেপুটি সেক্রেটারী ,কৃষি বিপনন অধিদপ্তর , কৃষি মন্ট্রণালয় এবং কন্ঠশিল্পী কাজি আরিফ ।
বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের কারণে সবাই যখন ঘরে বসে অবসর সময় কাটাচ্ছিলেন ঠিক তখনি অন্যান্য অনলাইন গ্রুপের মতো স্মৃতিকথনের যাত্রা শুরু হয় এই বছরের মে মাসের ১৭ তারিখ । মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে বিপুল সংখ্যক সাহিত্য অনুরাগী এবং সংস্কৃতিকর্মি উক্ত গ্রুপে জয়েন করেন , অন্যান্য গ্রুপের সাথে স্মৃতিকথন গ্রুপের পার্থক্য হলো – গ্রুপে বা পেইজে পোস্ট করা লেখা নিয়ে আগামী বছর অমর একুশে বইমেলায় গল্প ও কবিতা সংকলন ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করা হবে ।
গ্রুপের কর্ণধার পথিক মুসাফির স্মৃতিকথনের কার্যক্রমকে সর্বত্র পৌঁছে দেবার ইচ্ছে ব্যক্ত করেন । করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে এলে দাতা সংস্থার মাধ্যমে দেশের দুস্থ শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাবার আগ্রহ প্রকাশ করেন ; শুধু অনলাইন কেন্দ্রিক আড্ডা বা বিনোদনে স্মৃতিকথনকে আবদ্ধ না রেখে মাঠ পর্যায়ে সমাজ সেবামূলক কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে চান ।
লেখক সৈয়দ আশরাফ মহি-উদ্-দ্বীন বলেন , স্মৃতি কথনের সাথে যুক্ত হয়েছি মাস তিনেক হলো । স্মৃতি কথনের উদ্দেশ্য অনেক মহৎ এবং সুদূর প্রসারী। এঁরা মানুষের কল্যানে , সমাজের উন্নতিতে আর নতুন প্রজন্মের মেধা বিকাশে কাজ করে যাবেন বলে সবাই এক হয়েছেন। প্রবাসে বসে আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব এই মহতী উদ্যোগে একজন সহযাত্রী হয়ে থাকবো ইনশাআল্লাহ। আমি আশা করি স্মৃতিকথন নিয়মিত মানুষের পাশে থেকে মেধা এবং ভবিষ্যৎ বিনির্মানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কন্ঠশিল্পী কাজি আরিফ ‘স্মৃতিকথন’ সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি ভবিষ্যতে অন্যান্য সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে স্বতস্ফর্ত অংশগ্রহন করবার প্রত্যাশা রেখে বলেন , দেশের শিক্ষা , দারিদ্রতা দূরীকরণ , পরিবেশ রক্ষা , স্বাস্থ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালনের পরিকল্পনা আছে স্মৃতিকথন পরিবারের । তিনি আরো বলেন , ছোট্ট একটা বীজ থেকেই একদিন বিশাল মহীরুহ তৈরী হয়। আমি আশা করি তারুণ্যের শক্তি নিয়ে ‘স্মৃতিকথন’ একদিন এই দেশে এই সমাজে বিশাল মহীরুহ হয়ে একটা ইতিবাচক অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হবে ।
জনাব এ কে এম তারেক স্মৃতিকথনের সফলতা কামনা করে বলেন , ‘স্মৃতিকথন’ একটি সাংস্কৃতিক পরিবার। লেখালেখি এবং ভার্চুয়াল আড্ডার মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরছে প্রতিনিয়ত । তরুণ লেখকদের একটি একক প্লাটফর্মে এনে তাদের প্রতিভাকে ছড়িয়ে দেওয়া , আবার ভার্চুয়াল জগতে সংগীত , নৃত্যকলা ও আবৃত্তিকে আড্ডার ছলে বিশ্বব্যাপী বাংলা ভাষাভাষীদের নিকট পৌঁছে দেয়া নিঃসন্দেহে একটি ভাল উদ্যোগ। এ পরিবারটি বর্তমান কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতেও নতুন নতুন সৃষ্টিশিলতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।
গ্রুপের এডমিনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কথা সাহিত্যিক তাহমিনা খলিল , অবঃসিনিয়র শিক্ষক ভিকারুননিসা নুন স্কুল ও কলেজ , জনাব মুক্তাদিরুল আলম ডলার , কবি – লেখক ও আবৃত্তিকার শাইনি শিফা এবং গল্পকার ও নাগরিক সাংবাদিক রোদেলা নীলা । এডমিন প্যানেল থেকে তাহমিনা খলিল বলেন , সমাজের ক্ষয়িষ্ণু নৈতিক মুল্যবোধের উন্নতিতে স্মৃতিকথন পরিবার কাজ করছে , কর্মদ্যম মানুষের পাশে থেকে এই পরিবার অনেক দুর এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ ।
মডারেটরদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী আব্দুর রহিম রুবেল , সুজিত রঞ্জন সরকার এবং রজনী মিম । সংগীতশিল্পী সাহিদা স্মিতা’র আধুনিক গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয় ।