নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ২৭ মে আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে ঘর বাঁধেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। তবে তাদের বিয়ের খবর প্রকাশ পায় জুলাইয়ের শেষের দিকে। এ সময় অভিনেত্রীর ডিভোর্সের বিষয়টিও সামনে আসে। পূর্ণিমার ডিভোর্স ও আবারও বিয়ে করার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা করেন নেটিজেনদের একাংশ। স্বামী বয়সে ছোট হওয়া নিয়ে কেউ কেউ আবার ট্রলও করেন ‘হৃদয়ের কথা’ খ্যাত এই অভিনেত্রীকে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন পূর্ণিমা। স্বামী তার বয়সে ছোট হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে আগে থেকে প্রস্তুত ছিলাম আমি। বিয়ের পর স্বামীর বয়স নিয়ে যে কথা উঠবে, সেটা জানতাম। আমাকে নিয়ে এভাবে গালাগালি করে যদি তাদের শান্তি লাগে, আমি খুশি। আমার ছবি নিয়ে পোস্ট করে দু-চারটা গালি দিক, কোনো সমস্যা নেই। তবু তারা শান্তিতে থাকুক, সুখে ও সুস্থ থাকুক। আমাদের দুজনের পক্ষ থেকে তাদের শুভকামনা।’
একই সঙ্গে পূর্ণিমা জানান, তার মা অসুস্থ থাকায় আপাতত মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার সুযোগ নেই তাদের। তবে স্বামী আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে থাইল্যান্ডে যাওয়ার ইচ্ছে আছে তার।
জানা যায়, পূর্ণিমার এটি তৃতীয় বিয়ে। ২০০৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী মোস্তাক কিবরিয়ার সঙ্গে প্রথম বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। সেই সংসারের ইতি টানেন ২০০৭ সালের ১৫ মে। এরপর ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর পারিবারিকভাবে আহমেদ জামাল ফাহাদকে বিয়ে করেন পূর্ণিমা। ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল তিনি প্রথম কন্যাসন্তানের মা হন। তার মেয়ের নাম আরশিয়া উমাইজা। তবে এই সংসারও ভেঙে গেছে পূর্ণিমার।