বিজয় অর্জনের পর ৫০ বছরের পথচলায় দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। দারিদ্র্য আর দুর্যোগের বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে।।
সত্যি, এই ৫২ বছরে বাংলাদেশের অর্জন একেবারেই কম নয় এখন। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থসামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। আর এই অগ্রযাত্রায় নারীর সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক অধিকারও সুসংগঠিত হয়েছে। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নারীরা আজ শুধু রান্নাঘরেই সীমাবদ্ধ নেই, নারীরা পৌঁছে গেছেন বিমানের ককপিট থেকে পর্বতশৃঙ্গে।
নারী ঘরে-বাইরে নিজেকে আলোকিত করছেন নিজ প্রজ্ঞা আর মেধা দিয়ে। বর্তমানে এমন কোনো পেশা নেই যেখানে নারীর মর্যাদাপূর্ণ উপস্থিতি নেই। নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে লিঙ্গ সমতার প্রতিচ্ছবি যা একটি দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন।
বাংলাদেশে নারীশিক্ষার হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সর্বপ্রথম দেশ হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা অর্জন করেছে। এমনকি মাধ্যমিক শিক্ষায়ও আমাদের এই সাফল্য রয়েছে।
নারীর ক্ষমতায়নের সাথে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকা, অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ।
বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে এবং পুলিশ বাহিনীতে সৈনিক এবং অফিসার পদে মহিলাদের অংশগ্রহণ, গার্মেন্টস শিল্পে বিশাল সংখ্যক নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণ,বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ করার ফলে মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার হার এবং কম বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাগুলির অবলুপ্তি, পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির ফলে অসংখ্য সন্তান জন্মদানের মতো বিষয়ের সমাধান, শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে এখন নারীদের অংশগ্রহণ শতভাগ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আগের তুলনায় নারীর অংশগ্রহন নিশ্চিত করা, সংবাদপত্র মিডিয়া ইত্যাদি চ্যালেঞ্জিং কাজে নারীদের পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাওয়া এবং সর্বোপরি নারী ও শিশু নির্যাতন আইন এবং পারিবারিক সহিংসতা দমন আইন প্রণয়নের ফলে সমাজে নির্যাতিত নারীরা আগের তুলনায় অনেক বেশি আইনি সহায়তা পাচ্ছেন।