নিউজ ডেস্ক: মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণে নাকাল সিলেটবাসী। তার ওপর পাঁচটি নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় নতুন আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের পাঁচটি নদ-নদী এখন ফুঁসছে। বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও প্রতিটি নদ-নদীই পানিতে ভরপুর। প্রতিনিয়ত পানি বাড়ছে। ফলে এই করোনাকালের কঠিন পরিস্থিতিতে বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন সিলেটবাসী।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুরমা, কুশিয়ারা, লোভা, ধলাই এবং সারি নদীর পানি আগের দিনের চেয়ে শনিবার বেড়েছে। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দুশ্চিন্তাও বাড়ছে।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদীর পানি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় কানাইঘাট পয়েন্টে ছিল ১২.৩৬ সেন্টিমিটার। শনিবার সকাল ৯টায় পানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৬৬ সেন্টিমিটার। বিপদসীমা থেকে মাত্র ০.৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।
সুরমা নদীর পানি বেড়েছে সিলেট পয়েন্টেও। শুক্রবার সন্ধ্যায় যেখানে পানি ছিল ৯.৭৮ সেন্টিমিটার, শনিবার সেখানে ৯.৯৫ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহিত হয়।
কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে শুক্রবারের চেয়ে বেড়েছে ০.৮ সেন্টিমিটার। শুক্রবার পানি ছিল ১৩.৩১ সেন্টিমিটার, শনিবার দাঁড়িয়েছে ১৩.৩৯ সেন্টিমিটার।
শেওলা পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ১০.৯৭ সেন্টিমিটার। শনিবার সকাল ৯টায় পানি ১১.০৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কুশিয়ারার পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে স্থিতিশীল রয়েছে।
কানাইঘাট দিয়ে বয়ে যাওয়া লোভা নদীর পানি শুক্রবারের চেয়ে বেড়েছে ০.৭৪ সেন্টিমিটার। লোভাছড়া পয়েন্টে এ নদীর পানি শুক্রবার সন্ধ্যায় ছিল ১৩.৪৯ সেন্টিমিটার। শনিবার সকালে পানি ১৪.২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে শুক্রবার ছিল ১১.৭০ সেন্টিমিটার। শনিবার ০.২৬ সেন্টিমিটার বেড়ে হয়েছে ১১.৯৬ সেন্টিমিটার।
এদিকে ধলাই নদীর পানি ইসলামপুর পয়েন্টে শুক্রবার ১০.৩১ সেন্টিমিটার ছিল, শনিবার বেড়ে ১০.৯৮ সেন্টিমিটার হয়েছে।
শনিবার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি বিষয়ক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়াও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে শীঘ্রই বন্যা দেখা দিতে পারে।